ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীচাপ তেমন নেই, অনেকটা কাউন্টারগুলোকে ফাঁকাই দেখা গেছে। আর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে দু-একদিন পরে চাপ বাড়তে পারে আবার নাও বাড়তে পারে কারণ পদ্মা সেতু দিয়ে সাধারন মানুষ বেশি যাতায়াত করছে। গত মঙ্গলবার টিকিট বিক্রির শুরুর দিন সকাল থেকে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন লঞ্চ কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা মিলেছে। একটি জরিপ বলছে ঈদুল আজাহা উপলক্ষ্যে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে দক্ষিঞ্চলে পাড়ি জমাবে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। এর মধ্যে প্রায় বিপুলসংখ্যক ঈদ যাত্রীর ৬০ শতাংশ যাবে সড়ক পথে। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে। যেহেতু পদ্মা সেতু দিয়ে বেশি মানুষ যাতায়াত করবে তাই নৌপথে যাত্রী চাপ একটু কম হতে পারে বলে জানান লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তার পরেও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে অনেক যাত্রী লঞ্চের ওপরই ভরসা করবে। তাই ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে লঞ্চের টিকিট বিক্রিও বাড়তেও পারে। সুন্দরবন লঞ্চ কাউন্টার ম্যানেজার মো. শাকিল বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে সড়কপথে যাত্রী চাপ বেশি হবে। নৌপথে যাত্রী আছে তবে সেটি তুলনামূলক কম। আমাদের এখানে যারা আগে এসেছে তারাই কেবিন পেয়েছে। যেহেতু ২৬ তারিখ ছুটি শুরু তাই ঐ দিনের কেবিন সবই মোটামুটি বুকিং হয়েছে। বাকি শেষের দুদিন এখনো কেবিন বুকিং চলছে। আসলে যারা পরিবার নিয়ে একটু নিরিবিলি যাতায়াত করতে চায় তারাই এখন কেবিন নিচ্ছে বা লঞ্চে যাতায়াত করছে বাকিরা সবাই সড়ক পথেই যাতায়াত করবে। আগামী ২৬ জুন থেকে বরিশাল-ঢাকা দুই প্রান্ত থেকে সাতটি করে প্রতিদিন ১৪টি লঞ্চ চলাচল করবে। লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিবারেই আমরা বলি ঈদের পাঁচ দিন আগে ও পরে নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে। আমাদের সব দাবি মেনেও নিয়েছেন তারা। আশা করছি সুন্দর একটি ঈদ আমরা যাত্রীদের উপহার দিতে পারব।