জামালপুর জেলার মেলান্দহে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বন্দোরৌহা গ্রামের বাসিন্দা পাভেলের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মাহফুজা আক্তার সাথী তিন লাখ টাকাসহ উধাও হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি গত ৮ মে সোমবার রাত অনুমান ৮টার দিকে উপজেলা নাংলা ইউনিয়নের বোন্দরৌহা গ্রামে। এমন অভিযোগ এনে বিজ্ঞ মামলা আমলে নেওয়ার আদালত মেলান্দহ অঞ্চল,জামালপুরে মামলা দায়ের করেছেন ও জেলা মানবাধিকার কমিশন জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক বরারর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোক্তা ভোগী স্বামী রাজিব রানা পাভেল। ভোক্তা ভোগী স্বামী রাজিব রানা পাভেল জানান, ইসলামপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মাফল ফকিরের মেয়ে মাহফুজা আক্তার সাথীর সহিত প্রায় ১১বছর আগে মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ হয়। বিবাহের পর ঘর সংসার করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় আমার ঔরসে মামলার ২নং বিবাদী আমার স্ত্রী মাহফুজা আক্তার সাথীর গর্ভে ২টি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বর্তমানে ২টি সন্তান জীবিত রয়েছে প্রথম সন্তানের নাম মোঃ মাহিন (৬) ও দ্বিতীয় সন্তান মোঃ তুহিন (আড়াই বছর)। আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজনই সাংসারিক উন্নতির জন্য ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার এলাকায় রাজমিস্ত্রী কাজে কর্মরত ছিলাম। আমার স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। আমার বাসাও ১নং বিবাদী নুর মোহাম্মদ, পিতা-আব্দুর রশিদ সরকার, গ্রাম -কৃষ্ণবেলিপুর,উপজেলা -নালিতাবাড়ী, জেলা শেরপুর দুই জনই একই বাসায় ভাড়া থাকতাম। সেই সুযোগে ১নং বিবাদী নুর মোহাম্মদ ও ২নং বিবাদী মাহফুজা আক্তার সাথীর সঙ্গে ভালোবাসা ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিষয়টি আমি বুঝতে পারলে ঈদ উপলক্ষে ২নং বিবাদী আমার স্ত্রী মাহফুজা আক্তার সাথী কে নিয়ে আমার নিজ বাড়িতে চলে আসি। আমার নিজ বাড়িতে হাফ বিল্ডিং ঘরের কাজ শুরু করি। কাজ প্রায় দুই ভাগের এক ভাগ শেষ করা হয়েছে। বাকী কাজ শেষ করার জন্য গরু বিক্রি, ধান,বিক্রি, জমি বন্ধক দিয়া তিন লক্ষ টাকা নগদ ছিল। আমি প্রয়োজনের তাগিদে বাড়িতে না থাকায় ১নং, ২নং বিবাদী মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করে নগদ তিন লক্ষ টাকাসহ গত ৮ মে ২০২৩ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি বাড়িতে ফিরে আসার পর দেখি আমার স্ত্রী নাই, বাক্সের ভেতরে রাখা নগর তিন লক্ষ টাকা ও নাই। তাঁকে খোজাখুজি করি এবং শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে আমাদের বাড়িতে আসে নাই, আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। তারপর ১নং বিবাদীর ভাই ফোনে যোগাযোগ করে বলে আপনাদের মেয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসছে। তখন আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে তিন লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকার কথা অস্বীকার করে। আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। বর্তমানে ছেলের বাড়ী অর্থাৎ ১নং আসামি নুর মোহাম্মদ (৪০) পিতা আব্দুর রশিদ সরকার গ্রাম -কৃষ্ণবেলিপুর,উপজেলা -নালিতাবাড়ী, জেলা -শেরপুর এর স্থানে ঘর সংসার করিয়া আসিতেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান যে, আমার স্ত্রী মাহফুজা আক্তার সাথী আমাকে ডাক যোগে একটি রেজিষ্ট্রি চিঠি পাঠিয়েছেন সেখানে তিনি আমাকে গত ২৯/৪/২০২৩ইং তারিখে তালাক দিয়েছেন যাহা আমার কাছে সুরক্ষিত আছে বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে মাহফুজা আক্তার সাথীর সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,মোবাইলে সব কথা বলা যাবে না। আমি একজায়গায় আছি পরে আপনাকে সাক্ষাতে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেয়।