সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (সিসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রসহ মহড়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে নগরীর বনকলাপাড়া ও হাজীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ ও থানায় মামলা করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহ। আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় ঢাকায় গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন সিলেটে সফররত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বনকলাপাড়া এলাকার আতিকুর রহমান (৪২), জুবের আহমদ (৩৮) ও হাজীপাড়া এলাকার নুরুজ্জামান (৩৪)।
গত শুক্রবার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন, তার বাসার সামনে বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান ও তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। এসময় তার বাসার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে বাসার লোকজনকে হুমকি দেন। তিনি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে গুলি করে হত্যা ও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়ার হুমকি দেন মহড়ায় অংশগ্রহণকারী যুবকরা- এমন অভিযোগ করেন সাঈদ আবদুল্লাহ। এছাড়া ওই ঘটনায় শুক্রবার কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন তিনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ইলিয়াস শরীফ জানিয়েছেন, মহড়ায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে শনিবার সকালে নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি ওঠে আসে। তখন সিইসি জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। মনোনয়ন বাতিল হয় এমন কোনো আচরণ না করতে তিনি উপস্থিত প্রার্থীদের পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহ’র বাসার সামনে প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ১৫-২০ জন যুবক মহড়া দেয়। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল থেকে সাঈদ আবদুল্লাহর বাসার দিকে বন্দুক তাক করা হয়। এ ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সিলেটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের স্বার্থে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে।