সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত। আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে পিকআপে করে প্রায় ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ১৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, হতাহতের দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন সিলেট সফররত নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সকালে সিলেট ওসমানী ওসমানী বিমানবন্দরে নেমেই তিনি সরাসরি চলে যান এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। প্রতিমন্ত্রী আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ নিহতদের চিহ্নিত করে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ও তাদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকব আমরা।’
সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া তার সঙ্গে ছিলেন।