ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার একটি বিবদমান জমিতে স্থিতাবস্থা (১৪৪ধারা) জারি করেছেন ফরিদপুরের বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। নালিশি জমিতে স্থিতাবস্থা জারির পরও বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন বাদী পক্ষ। জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার ৪৪নং নয়রশি মৌজার আরএস ১৮৪ নং এবং এসএ ২১২ নং খতিয়ানের ৫১নং দাগের ৮০ শতাংশ জমির মধ্যে ৪২শতাংশ জমি পৈত্রিক সুত্রে দাবী করে গত ১৭ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন বাদী আ: আজিজ ব্যাপারী। মামলা চলমান থাকলেও বিবাদী আ: মান্না হাওলাদার ওই জমিতে ১০-১২ দিন আগে বালু ভরাট করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে আ: আজিজ ব্যাপারী বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্র্টে আদালতে স্থিতিাবস্থা জারির আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানীর তারিখ ধার্য করে সেই সময় পর্যন্ত নালিশী জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেন। গত ৩১ মে সদরপুর থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখেতে নালিশী জমির উপর স্থিতাবস্থার নোটিশ পরিবেশন করেন। আদালত কর্তৃক ফয়সালা না আসা পর্যন্ত নালিশী জমিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন সাধন না করতে উভয় পক্ষকে নির্দেশনা দেন। বাদী আ: আজিজ ব্যাপারী দাবী করেন, নোটিশ পাওয়ার পরদিন ০১ জুন বিবাদী মান্নান হাওলাদারের লোকজন নালিশী জমি থেকে সাইনবোর্ড সরিয়ে নিয়ে যান এবং বালু ভরাট কাজ অব্যাহত রাখেন। তিনি দাবী করেন, এসব কাজের মাধ্যমে বিবাদী পক্ষ আদালত অবমাননা করছেন। বিষয়টি আদালতকে আইনজীবির মাধ্যমে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, বিবাদী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের পৈত্রিক জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বিকার করেছেন বিবাদী মান্নান হাওলাদার। তিনি জানান, ওই জমির রেকর্ডিয় মালিক সইজুদ্দিন ব্যাপারীর উত্তরসূরী মোচেন ব্যাপারীর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন। ক্রয়কৃত জমিতেই তিনি বালু ভরাট করছিলেন দাবী করে বলেন, যেহেতু আদালত স্থিতাবস্থা জারি করে নোটিশ দিয়েছেন, তাই নালিশি জমিতে সাইবোর্ড অপসারণ বা বালু ভরাট করছি না। বাদী পক্ষের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেন তিনি। আর সদরপুর থানা পুলিশ জানায়, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করা হয়েছে, কেউ শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।