‘রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব’। এই অমর বাণী যিনি রেখে গেছেন তিনি হলেন শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী। শনিবার বাংলা ১৯শে জৈষ্ঠ-১৪৩০ ও ৩রা জুন-২০২৩ইং তাঁর ১৩৩তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কামারখালী ইউনিয়নের মছলন্দপুর হিন্দু পাড়া বীরমুক্তিযোদ্ধা পরমানন্দ বিশ্বাস এর নিজ বাড়ীতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানা অনুষ্ঠান মালার মাধ্যমে পূজার আয়োজন করা হয় । দিনের প্রথম ভাগে সকাল ৭টায় মঙ্গলঘট স্থাপন, ৮টা ১০ মিনিটে বাল্যভোগ, ১০টায় আরতী কীর্তন, ১১টা ৪৫ মিনিটে শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার উদ্দেশ্যে নিরবতা পালন করা হয় । পূজার অনুষ্ঠানে ঠাকুর ছিলেন গাজনা ইউনিয়নের মিঠুন শিকদার। পূজা শেষে দিনভর মহাপ্রাসাদ ভোগ, মধ্যাহৃ ভোজ, সন্ধ্যায় আরতী ও বাবার এক নাম কীর্তন করা হয়। এই পূজায় বিভিন্ন দুর-দুরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ এসে পূজায় অংশগ্রহন করেন। উল্লেখ্য লোকনাথ ব্রহ্মচারী তৎকালীন যশোহর জেলা বর্তমান ২৪ পরগনা জেলার পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত মহাকুমার কচুয়া নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম তারিখ ১৮ ভাদ্র ১১৩৭ বঙ্গাব্দ বা ইংরেজী ১৭৩০ খ্রীষ্টাব্দ। বাবার নাম রাম নারায়ন ঘোষাল এবং মা শ্রী কমলা দেবী। ১১ বছর বয়সে তিনি উপনয়ন নিয়ে বের হন যোগ সাধনা করতে। বিভিন্ন ধরনের যোগ সাধনা আর কঠিন তপস্যা করে তিনি ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন। এরপর তিনি পায়ে হেঁটে বহু দেশ দেশান্তর ঘুরে অবশেষে ঢাকা জেলার নারায়নগঞ্জের বারদী নামক স্থানে এসে আশ্রম স্থাপন করেন এবং সেখানেই জীবনের বাকী ২৬/২৭ বছর সাধন ভজন করেন। অবশেষে তিনি ১৯শে জৈষ্ঠ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ বা ইংরেজী ১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দে রবিবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে দেহত্যাগ করেন। অলৌকিক শক্তির অধিকারী এই মহামানব ১৬০ বছর বেঁচে ছিলেন বলে জানা যায়।