ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় ৪০১ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই আন্তঃজেলা মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-৮। এসময় তাদের কাছে থেকে ১টি প্রোবক্স প্রাইভেটকার, ৩টি মোবাইল ফোন, ৬টি সিমকার্ড এবং মাদক বিক্রিত ৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুর র্যাব-৮ অফিস থেকে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ফরিদপুর র্যাব-৮ জানান, র্যাব গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে ফরিদপুরের মধুখালী থানার কামারখালী এলাকায় মাদকের একটি বিশাল চালান ১টি প্রোবক্স প্রাইভেটকারে করে নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল কামারখালী এলাকার ঝিনাইদাহ-ফরিদপুর সড়কে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে এবং মাদক পরিবহনকারীর অবস্থান সনাক্ত করে। পরে সোমবার (২৯ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মহিদুল ইসলাম (২৭) ও একই উপজেলার ডুমুরতলা এলাকার মৃত খোদাবক্স মন্ডলের ছেলে মো. বিশারত আলীকে (৪১) আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থাকা ৪০১ বোতল ফেনসিডিল, ১টি প্রোবক্স প্রাইভেটকার, ৩টি মোবাইল, ৬টি সিমকার্ড এবং মাদক বিক্রিত ৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে,এম শাইখ আকতার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তারা দীর্ঘদিন থেকে আন্তঃজেলায় পণ্য এবং যাত্রী পরিবহনের আড়ালে কৌশলে ট্রাক এবং প্রাইভেটকারে করে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক পরিবহন করে ফরিদপুর, ঢাকা ও বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করতো। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মধুখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।