কলারোয়ায় ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে আলুর দাম তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কোলষ্টোর ও ব্যবসায়ীদের আড়ত ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু মজুদ থাকা সত্ত্বেও লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বেশি লাভের আশায় কোল্ডষ্টোর মালিক ও ব্যবসায়ীরা যুক্তি করে ২৪ হাজার বস্তা আলু মজুদ রেখে তা বাজারে না ছেড়ে আলু সংকট সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কলারোয়া কোল্ডষ্টোর মালিক ও বাজারের ৪/৫জন ব্যবসায়ী। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বর্তমানে বাজারে এক কেজি আলু ৩২ টাকা বেশি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় কোল্ডষ্টোরে আলুর সংরক্ষণও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এত মজুদ, তবুও আলুর দাম বেড়েই চলছে। কোনোক্রমেই আলুর দাম থামানো যাচ্ছে না। কলারোয়া কোল্ডষ্টোরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (১৩মে) পর্যন্ত কোল্ডষ্টোরে মজুদ রয়েছে (প্রতি বস্তা ৬০কেজি) ২৪ হাজার বস্তা। কলারোয়া কোল্ডষ্টোরের ম্যানেজার খালিদ হোসেন বলেন, বাজারে সবজির আমদানি কম হওয়ায় আলুর চাহিদা বেড়েছে। আর সেই কারণে আলুর দামও বেড়েছে। নতুন আলু না আসা পর্যন্ত আলুর দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে বিদেশ থেকে আলু রপ্তানী শুরু হলে আবার আলুর দাম ১৫/২০টাকায় চলে আসবে। রামভদ্রপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান-তিনি এবার আলু, পেয়াজ চাষ করেছিলেন। কিন্তু বাজারে ভাল দাম পাননি। অনেক লোকসান হয়েছে। রমজান মাসের ৪দিন আগে আলু ১৩টাকা ও পেয়াজ ২০টাকা কেজিতে বিক্রয় করেছেন। বর্তমানে বাজারে সেই আলু-৩২ টাকা ও পেয়াজ-৫৫টাকা কেজিতে বিক্রয় হচ্ছে। সোনাবাড়ীয়ার কৃষক ফজর আলী জানান-তিনি এবার লাভের আশায় এবার রসুন চাষ করেছিলেন। কিন্তু তিনি সার, কিটনাশক ও জোন মজুরির খরচ তুলতে পারেননি। মাত্র ৪০টাকা কেজিতে রসুন বিক্রয় করেছিলেন। বর্তমানে সেই রসুন ১৫০টাকা কেজিতে বিক্রয় হচ্ছে। তারা আর আলু, পেয়াজ, রসুন চাষ করতে চান না। এগুলাতে কৃষক লাভবান না হলেও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে দশগুন। বর্তমানে কলারোয়ার ব্যবসায়ীদের আড়তে পর্যাপ্ত আলু, পেয়াজ ও রসুন মজুত রয়েছে। তারা প্রতিদিন এক, দুই টাকা কেজিতে দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। বাজার মনিটরিং ঠিকমত না হওয়ার সুযোগে ব্যবসায়ীরা আলু, পেয়াজ ও রসুন সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।