ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হলদিবাড়ী হাট এলাকায় ২৯ বছর বয়সী এক বিধবা নারীকে ধর্ষন চেষ্টার দুজনকে আসামি করে অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল ঐ নারী বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১০৮/২৩ নাম্বার দুইজনকে আসাম করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হলদিবাড়িহাট ভূমি অফিসের সামনে মারামারির ঘটনায় ঐ নারীর স্বামী গুরুতর আহত হন। এ সময় তিনিও আহত হয়ে দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। পরক্ষনেই এ ঘটনায় তার ভাসুর ঐ গ্রামের মৃত সামসুল আলম (কসিরত) এর ছেলে মো. সাঈদ আলম (৩৫) কয়েকজনকে আসামী করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় জি,আর-১৩১/২২ নাম্বার হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মো. সাঈদ আলম হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত দোষীদের আসামীর শ্রেণীভুক্ত না করে ঐ এজাহার দায়ের করেছেন বলে ঐ নারী তার মামলায় উল্লেখ করেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় মো. সাঈদ আলম ও তার সহযোগী মো. জাহাঙ্গীর আলম (মামুন) (৪০) ঐ নারীর স্বামীর হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের সাথে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে ঐ নারীর স্বামীর সমিতির প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। ঐ টাকা সাঈদের কাছে চাইতে গেলে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখালে ঐ নারী রাজি হয় না। এ অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে সাঈদ ও তার সহযোগী মো. জাহাঙ্গীর আলম (মামুন) ঐ নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাঈদ আলম ও জাহাঙ্গীর আলম সহ দুজনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অভিযোগে মামলা দায়ী করেন।