চুয়াডাঙ্গার পর এবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহওয়া অফিস। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই করছে। এদিন বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এর আগে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানায়, ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদহ। গত কয়েকদিন ধরেই বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনে প্রখর রোদ ও গরমের তীব্রতা। আগুনের মতো হালক বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার কারণে রাস্তাঘাট-হাটবাজার এমনকি ঈদ বাজারেও লোক সমাগম কম। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। টানা তাপপ্রবাহে রাজশাহী ও ঈশ্বরদী অঞ্চলের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অফিস-আদালত বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোথাও স্বস্তি মিলছে না। বিশেষ করে পথে-ঘাটে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রুটি-রুজির তাগিদে আগুনমুখো আবহাওয়া উপেক্ষা করেই তাদেরকে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে যেতে হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও নিদারুণ কষ্টে একেকটি উত্তপ্ত দিন পার করছে। সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকেই তাপপ্রবাহ গণনা করা হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। এ হিসেবে রাজশাহী অঞ্চলের তাপত্রা তীব্র তাপপ্রবাহ ছাড়িয়ে গেছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, গত ৪ এপ্রিল থেকে মূলত রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ওইদিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা বাড়ছে। গত ১৩ এপ্রিল তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ ডিগ্রি ৬ দশমিক সেলসিয়াস। তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকাল ৩টায় রাজশাহী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে দুপুর ১টায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি এবং দুপুর ১২টায় ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।