ববি প্রতিনিধি:
বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সাকুরা পরিবহণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক শিক্ষার্থীক লাঞ্চনার ঘটনা ঘটেছে। ১১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুরে ঢাকা থেকে বরিশাল আসার সময়ে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইলিয়াস হুসাইন আবিদ। ইলিয়াসের অভিযোগ, তিনি ঢাকা সায়েদাবাদ কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে ভুলবশত E-1 এর স্থলে C-1 সিটে ব্যাগ রেখে বাইরে যান, পরে গাড়িতে এসে এসে দেখেন তাঁর সিটে অন্যযাত্রী বসে আছে। সুপার ভাইজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি শিক্ষার্থীর সাথে বাজে ব্যবহার করেন ও টিকিট কাটা সত্ত্বেও সমস্ত পথ শিক্ষার্থীকে দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে।
আবিদ ঘটনা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে পোস্ট দেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। পরবর্তীতে পরিবহণটি নথুল্লাবাদ বাস স্টান্ডে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাড়ে পাঁচটার দিকে ড্রাইভারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন পরিবহণটি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও বাসমালিক সমিতির মধ্যস্ততার মাধ্যমে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঐ বাসের ড্রাইভার জানান, “এই সমস্যা আমাদের না কাউন্টার থেকে এক সিট দু’জনের কাছে বিক্রি করায় সমস্যাটি হয়েছে।”
সাকুরা পরিবহনের বরিশাল কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, “বাসটি ছাড়ার ১০মিনিট আগে শিক্ষার্থীকে সায়দাবাদ কাউন্টার থেকে দু’বার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করার উক্ত সিটের টিকিট আরেক যাত্রীর কাছে বিক্রি করা হয়। যে ঘটনাটি শিক্ষার্থীর সাথে ঘটেছে এটা নিয়ে তিনি অনুতপ্ত এবং এমন ঘটনা আর না ঘটার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।”
উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. মো. খোরশেদ আলমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, “ঘটনাটি মৌখিকভাবে জেনেছি শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এইভাবে গাড়ি এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রাখলে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তিনি এমন ঘটনায় গাড়ির নাম, নাম্বার সংগ্রহ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আভিযোগ জানানোর জন্য অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীদের।”
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরের ৯তারিখ সাকুরা পরিবহনে ঢাকা থেকে বরিশাল আসার সময়, বেপরোয়া গতির কারণে ভাঙ্গা ফরিদপুরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে গাছের সাথে ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ববি শিক্ষার্থী ইমন।