দাম বেশি এবং রোজা এ কারণেই যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মুরগির খুচরা দোকানে ক্রেতা কম। জানালেন দোকানীরা। তবে, ক্রেতারা দাম বেশির কথাটাই বেশি বলছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ বাজারের মুরগির দোকানগুলোতে ক্রেতা একেবারে নেই বললেই চলে। দোকানীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। রোববার (০২ এপ্রিল) বেলা ১২টার সময় রাজগঞ্জ বাজারের হাইস্কুল রোডের একটি মুরগির দোকানে প্রায় একঘন্টা দাড়িয়ে ছিলাম। এরপর দেখাগেলো একজন ক্রেতা আসলো। সেই ক্রেতা আধাকেজি ব্রয়লার মুরগির কেটে রাখা মাংস ক্রয় করোলো ১৬০ টাকা দিয়ে। তারমানে কাটা ব্রয়লার মুরগি ৩২০ টাকা প্রতিকেজি। আর পূর্ণাঙ্গ (আচতো) মুরগি ২৫০ টাকা প্রতিকেজি। এই দরের কথা মুরগির দোকানী জানিয়েছেন। এ বাজারে সোনালি- ৩৪০ টাকা, কক- ৩৪০ টাকা, প্যারিস- ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন দোকানীরা। এগুলো পূর্ণাঙ্গ (কাটা বাদে)। আর দেশি মুরগি- ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দোকানীরা বলছেন, দোকানে এসে শুধু দাম করছে গরীব মানুষেরা। সরকারি চাকরীজীবীসহ বড় লোকেরাতো এতো দাম করছে না ?। আরেকজন মুরগি দোকানী বললেন, মানুষ আগের মতো মুরগি কিনছে না। কিন্তু উৎপাদনতো থেমে নেই। খাদ্যের দাম বেশি, পরিবহন খরচ বেশি, বিদ্যুৎ খরচ বেশি। এসব কারণেই মুরগির দাম বেড়েছে। এছাড়া, গ্রামে উৎপাদন হওয়া মুরগি শহরে চলে যাচ্ছে। এদিকে সাধারণ অল্প আয়ের ভোক্তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে শুধু দ্বিগুন হয়নি। কয়েকগুন হয়েছে। এজন্য খাবারের তালিকা থেকে মাছ, মাংস বাদ রেখেছি। দাম কেজিতে ২০০ টাকার নিচে আসলে তখন কেনা যাবে বলে মতপ্রকাশ করেন তারা। অন্যদিকে রাজগঞ্জ বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১৫০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি করছে দোকানীরা। রাজগঞ্জ এলাকার সাধারণ ভোক্তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টির দিকে সু-নজর দিয়ে, বাজার নিয়মিত মনিটরিং করার দাবী জানিয়েছেন।