ইতালি চলতি বছর (২০২৩) বাংলাদেশসহ ৩৩ দেশ থেকে ৮২৭০৫ জন নতুন শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় সাত হাজার বেশি।
এ জন্য অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে আগামী ২৭ মার্চ এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এ বিষয়ে দেশটির সরকার গত ২৬ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ছাড়া যেসব দেশের নাগরিকরা আবেদন করতে পারবে সেগুলো হলো- আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মিশর, এলসালভাদর, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, জর্জিয়া, ঘানা, গুয়েতেমালা, ভারত, আইভরিকোস্ট, জাপান, কসোভো, মালি, মরিশাস, মলদোভা, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপিন্স, উত্তর মেসিডোনিয়া, সেনেগাল, সাইবেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা, সুদান, তিউনিসিয়া ও ইউক্রেন।
এবারের কোটায় যা আছে
প্রধানত ২ শ্রেণিতে শ্রমিক নেবে ইতালি- সিজনাল ও নন-সিজনাল। সিজনাল শ্রেণিতে ৪৪ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে। এর মধ্যে কৃষিকাজের জন্য নেওয়া হবে ২২ হাজার জন। বাকিরা অন্যান্য সিজনাল কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নন-সিজনাল কোটায় ৩০,১০৫ জন শ্রমিক নেবে ইতালি। এই শ্রেণীতে দক্ষ শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। যেমন: ভারি যানবাহন চালক, অবকাঠামো নির্মাণ শ্রমিক, জাহাজ নির্মাণ শ্রমিক, টেলিযোগাযোগ শ্রমিক, খাদ্য সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা শ্রমিক ইত্যাদি।
বাকি ৮,৬০০ জনকে অন্য বিভিন্ন ভিসায় নেওয়া হবে।
সিজনাল শ্রমিকদের সাধারণত ৯ মাসের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়। কেউ ফিরে না গেলে তাকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
এর আগে সিজনাল ভিসায় ইতালি যাওয়ার পর অধিকাংশ শ্রমিক সঠিক সময়ে ফিরে না যাওয়ার অপরাধে বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রায় ৯ বছর নিষিদ্ধ করে রেখেছিল ইতালি। গত বছর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
এবার আবেদনের জন্য সাধারণভাবে প্রতিজন শ্রমিকের খরচ হবে ১৬ ইউরো। তবে কারও সাহায্য নিলে খরচ বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ থেকে কতজন যেতে পারবে
এ বছর কোন দেশ থেকে কত শ্রমিক নেবে ইতালি তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।