ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়া ইউনিয়নের মাদারজানী গ্রামে সার্ভিস লেনের ৫০ মিটার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে পঙ্গু হচ্ছে অনেক নারী পুরুষ। স্থানীয়রাও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, দ্রুত এ সার্ভিস লেনের কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান এলাকাবাসী। জানাগেছে, মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়া ইউনিয়নের মাদারজানী গ্রামের বাসিন্দারা আন্ডার পাস দাবি করায় ওই অংশের কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাসেক। পরবর্তীতে ওই এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ করলে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ ফুট ওভার ব্রিজ করে দেন। কিন্ত সার্ভিস লেনের ৫০ মিটার কাজটি অদ্যবধি সম্পন্ন করা হয়নি। ফলে প্রতিদিন ওইখানে ঘটছে মারাত্নক দুর্ঘটনা। পঙ্গু হয়ে দিনাপাত করছে জেলার অনেক মোটরসাইকেল আরোহী। মাদারজানী গ্রামের মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.হামিদ মিয়া জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস লেনের কাজ সম্পন্ন হলেও মাদারজানী অংশের সামান্য ৫০ মিটার রাস্তাটি কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এখানে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান সার্ভিস লেনের কোথাও খানাখন্দ নেই ভেবে মোটরসাইকেল আরোহী সিএনজি চালকরা দ্রূত গতিতে গাড়ি চালায়। এখানে খানাখন্দ থাকায় দ্রুত গতির ওই যানবাহন গুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আজ সোমবার সকালে এক যুবক-যুবতী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মেয়েটির সারা শরীর কেটে যায় এবং ডান পা মাঝখানে ভেঙে যায়। এছাড়া মেয়েটির সামনের দুইটি দাত পড়ে যায়। ছেলেটি মারাত্নক আহত হয়। সাথে সাথে আমরা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। মাদারজানী গ্রামের মোস্তফা মুরাদ ও কলেজ পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী রাসেল আনছারী বলেন, এই সার্ভিস লেনের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে গর্ত হয়ে যায়। আমরা নিজ উদ্যোগে মাটি ফেলে চলার ব্যবস্থা করলেও বেশিদিন টিকে না। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে দুর-দুরান্তের লোক মোটরসাইকেল, সিএনজি নিয়ে চলাফেরা করে। খানাখন্দের বিষয়ে স্থানীয় চালকদের জানা থাকলেও অপরিচিত মোটরসাইকেল আরোহী ও সিএনজি চালকদের জানা না থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই। দোকানদার জিয়াউর রহমান ও নুর আলম বলেন এখানে দিনের বেলায় দুর্ঘটনা কম হলেও রাতে দুর্ঘটনা বেশি হয়। মাঝেমধ্যেই বিকট শব্দ হয়, দৌড়ে গিয়ে দেখি মোটরসাইকেলের আরোহী তা নাহলে সিএজির যাত্রীরা রাস্তায় পড়ে রয়েছে। রাতের বেলায় দুর্ঘটনার শিকার হওয়া লোকদের হাসপাতালে পাঠাতে নানা সমস্যা হয়। দ্রুত এ রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানায় তারা। দায়িত্বরত উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী (মির্জাপুর)মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা জানান, প্রথমে এলাকাবাসীর বাঁধার কারণে কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি। বিষয়টি উর্ধবতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত কাজ করা আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ(সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরী জানান বিষয়টি সরেজমিনে দেখে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।