কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত নয় কৃষক মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দেয়। পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, অপহরণকারীরা ফোনে প্রথমে দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। অবশেষে দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। অপহৃতদের মারধর করেছে ডাকাতরা। এখন তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলেন- নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম,আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী জানান, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই কৃষকদের অপহরণ করা হয়। এরপর জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহৃতদের পরিবারে ফোন করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে গোপনে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর এদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু কত টাকা, কিভাবে, কাকে দিয়েছে এটি বলতে রাজী হচ্ছে না অপহৃতদের স্বজনরা। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন অপহৃত নয়জনের বাড়ি ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অপহরণের পরপরই ঘটনা জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুইদিনে পুলিশ পাহাড়ে সক্রিয় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এতে চাপে পড়ে অপহৃদের ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। ওসি বলেন, আমরা মুক্তিপণ পরিশোধের বিষয়ে অবগত নই। তবে মুক্তিপ্রাপ্ত কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্য মতে, গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।