অভিভাবকদের অগোচরে স্কুল পড়ুয়া কিশোরদের মধ্যে মাদক ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজকর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরদের মধ্যে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং অপরাধমূলক কার্যক্রমের প্রলোভন দিন দিন বাড়ছে। বিদ্যালয়ের আশপাশে মাদক সেবনরত কিশোরদের দেখা যাচ্ছে, এছাড়া কিশোরদের মধ্যে নিজ আত্মরক্ষায় সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে চলাফেরার প্রবণতাসহ বাড়ছে নিজেদের মধ্যেই মারামারির মতো ঘটনা। যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এক অভিভাবক বলেন, “আমরা কাজের কারণে সন্তানদের নজরদারি করতে পারছি না। এ অবস্থায় তারা বিপথগামী হচ্ছে। আমাদের সন্তানদের সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।” শিক্ষকদের মতে, এ ধরনের পরিস্থিতি শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিশোরদের আচরণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কমছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোসাদ্দেকুর রহমান বিষয়ের আলোকে বলেন, “এ সমস্যা মোকাবেলায় আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে নানান সচেতনতা কর্মসূচি ইতিপূর্বে গ্রহণ করেছি। অভিভাবকদেরও সক্রিয়ভাবে সন্তানদের দিকে নজর দিতে হবে।” স্থানীয় সমাজের প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাদের দাবি, মাদক বিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে এবং কিশোদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। যদি এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা না যায়, তাহলে গঙ্গাচড়ার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা, প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।