সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ নামে দুটি ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং চুয়াডাঙ্গা স্টেশন হয়ে চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটাই চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যশোর হয়ে চুয়াডাঙ্গায় ঢুকলে রেলস্টেশনে আটকে রেখে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় লোকজন। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেসটি চুয়াডাঙ্গা হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলো। এ সময় ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন ট্রেনটি আটকে বিক্ষোভ ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।পরে দুপুর বারোটার সময় অবরোধকারীরা রেলপথ থেকে সরে গেলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা পরিহার করে যশোর-নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা। এমন খবর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন দুটির রুট পরিবর্তন হলে চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে দুটি ট্রেনের রুট বদল না করার দাবিতে তাঁরা রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় ট্রেন যাত্রী সালমান হোসেন বলেন , ১৫ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রত্যাহার করে যশোর-খুলনা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাবে বলে জেনেছি। এটি কোনোভাবেই আমরা হতে দেব না। এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আমার চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে মানববন্ধন করছি। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব বিশ্বাস বলেন , চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে ট্রেন কেন, একটি পাথর আমরা সরাতে দেব না। ট্রেন দুটি তো থাকবেই, অনেক আগে থেকে আরও নতুন ট্রেন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছি। সেই দাবি না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবো।