নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে ইলিশসহ নদীর মাছের দেখা মিলেছে। তাই প্রথম দিনেই নগরের পোর্ট রোডস্থ বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড় ছিলে চোখে পড়ার মতো।
যদিও ক্রেতারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখা মিললেও দাম তেমনভাবে কমেনি, সেইসাথে নতুনের সাথে পুরাতন ইলিশ মিলিয়ে বিক্রি হচ্ছে।
আর আড়ৎদাররা বলছেন, গত বছর নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনে যে পরিমাণে ইলিশ বাজারে এসেছে, এবারে তার থেকে আমদানি খুব কম। আর যাও আসছে তার মধ্যে ফ্রেশ মাছের সংখ্যাই বেশি। আর ইলিশের আমদানি যত বাড়বে, ততো বাজারে মাছের দাম কমবে। তবে মৎস্য দপ্তর এটিকে অভিযানিক সফলতা হিসেবে দেখছেন।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিম) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, বাজারে বিগত সময়ের মতো বড় ইলিশের আমদানি তেমন একটা নেই, এবারে ছোট সাইজের মাছের আধিক্য বেশি, তবে এটি বলে দেয় মা ইলিশ প্রচুর ডিম নদ-নদীতে ছেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দিনে বাজারে ইলিশের আমদানি কম মানে, নদ-নদীতে অভিযানের তৎপরতার কারণে তেমনভাবে ইলিশ শিকার করতে পারেনি কেউ। তবে বড় বড় ফিশিং বোট সাগরে গিয়ে মাছ শিকার শেষে ফিরে আসার পর বাজার দর নিম্নমুখী হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে মৎস্য আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে বেশিরভাগ ফিশিং বোট মধ্য রাতে সাগরপথে যাত্রা করেনি, তারা আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে সাগরমুখী হবেন এবং অবস্থা বুঝে ৩-৭ দিনের মধ্যে আবার তীরে আসবে। ইলিশসহ যত বেশি মাছ আহরণ হবে বাজারে মাছের দাম ততো কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী মাসুম।
তিনি বলেন, গতবছরও জালে কাটা, নরম মাছের আধিক্য বেশি ছিল বাজারে তবে এবারে পুরাতন মাছ নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, জাটকা, গোটলা সহ ছোট আকারের ইলিশের আমদানি বেশি থাকায় সেগুলো আকার ভেদে ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকা মনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। তবে এলসি সহ বড় সাইজের ইলিশের আমদানি কম রয়েছে বাজারে, সেক্ষেত্রে এসব ইলিশের দাম আগের মতোই আছে।
নিজাম নামে এক ক্রেতা বলেন, যে পরিমাণ মাছ পোর্টরোডে এ দিনটাতে হয়, এবারে তার থেকে কমই মনে হচ্ছে। তবে যা আছে তার মধ্যে ছোট আকারের ইলিশের দাম কম, যেমন কেজিতে ৩-৫ টা হয় এমন ইলিশের দামও ৪-৬ শত টাকার মধ্যে, তবে এর থেকে বড় ইলিশের কেজি ১৪-১৬ শত টাকাও চাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া পাঙাস, বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, পোয়া, বাইলা, আইর, রিডা, কোরালসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ টানা ২২ দিন পর বাজারে মিলছে।