গাজীপুরের শ্রীপুরে তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের এক শিক্ষক পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। শিক্ষক ফরহাদ মিয়া গাজীপুর মেরিডিয়ান স্কুলের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক। সে টেংরা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। এই ঘটনায় শিক্ষক ফরহাদ মাষ্টার এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশে বিচার চেয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। পরবর্তী সময়ে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার অভিযোগ দিয়ে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাই রফিকুল ও শফিকুল ইসলামকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নোটিশ দেয়ার পরেও হাজির হয়নি। শিক্ষক ফরহাদ মিয়া বলেন,আমির উদ্দিনের ছেলে রফিক উদ্দিনের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি ও নামজারি করে ভোগ দখলে আছি। সম্প্রতি আমার চাচাতো ভাই রফিকুল ও শফিকুল ইসলাম জোরপূর্বক ভাবে আমার জমিতে আকাশমনি চারা গাছ রোপনের মাধ্যমে সাবেক ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন হেলুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আমার নামে ক্রয়কৃত জমি দখলের চেষ্টা করেছে । অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার শামসুল হকের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ফরহাদ মাস্টার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায় ফরহাদ মিয়া তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগে দায়ের করেছেন এবং এ-ই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান মহোদয় ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জনাব আইনুল হক ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট মোকদ্দমাটি মীমাংসার জন্য দায়িত্ব ভার অর্পণ করেন এবং তদন্তের মাধ্যমে বাদী পক্ষের কাগজপত্র যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় কিন্তু বিবাদী পক্ষ উপস্থিত না থাকায় বিবাদীপক্ষ কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই এবং সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিনের অসহযোগিতার কারণে মোকাদ্দমাটি নিষ্পত্তি করা যায়নি। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান সাহেব বাদীপক্ষের দাবী মোটামুটি সত্য বলে প্রত্যায়িত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অগ্রায়িত করেন। এই দিকে মোকাদ্ধমাটি নিস্পত্তি না হওয়ার কারণে বাদী ফরহাদ মিয়া তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন । গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফরহাদের বাড়ির পাশে থাকা আকাশমনি বাগানের সাড়ে ৫শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখছে। স্থানীয়রা জানান, ফরহাদ জমিটি ক্রয় করার পর থেকেই জবরদখল নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে অভিযুক্তরা। অন্যায় অবিচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন ফরহাদ। তিনি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের দাবি করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফরহাদের জমি আমাদের দখলে থাকলে ছেড়ে দিবো এক পর্যায়ে তাদের কাছে পৈত্রিক সম্পত্তির বাইরে অতিরিক্ত জমি থাকার কথা স্বীকার করেন।