বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর সদর উপজেলা চত্বরে একটি নিউট্রিশন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কৃষকদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে বীরগঞ্জ, বিরল, চিরিরবন্দর এবং দিনাজপুর সদর উপজেলা থেকে ৩০০ জন কৃষক এবং কৃষাণী এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইফাদ এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কতৃক পরিচালিত ডাইভার্সিফাইড রেজিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ফর ইমপ্রুভড ফুড এন্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি (রেইনস) প্রকল্পের কারিগরী সহযোগী গ্লোবাল এলায়ন্সে ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এই ক্যাম্পইনের আয়োজন করে।
সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান অন্তর্ভুক্ত করে এমন একটি ভাল খাদ্য তালিকা অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবারের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সুষম খাদ্য খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার সামঞ্জস্যের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুবিধার উপর জোর দেওয়ার এবং পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে কৃষকদের খাদ্য এবং পুষ্টি সম্পর্কে অবহিত করার উদ্দেশ্যেই এই নিউট্রিশন ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে র্যালি, পুষ্টি বার্তা সম্মলিত মঞ্চ নাটক উপস্থাপন, পুষ্টি গান, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পদ্ধতিতে রন্ধন প্রণালী প্রদর্শন এবং কুইজ আয়োজনের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। উক্ত নিউট্রিশন ক্যাম্পেইনে দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান, দিনাজপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, রেইন্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ এমদাদুল হক, উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, এসএসিপি রেইন্স প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আবু সিয়াম জুলকারনাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান, হাজি দানেশ মোহাম্মদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর ডক্টর আনোয়ারা আখতার খাতুন, দিনাজপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং বিরল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসারগণ ও গেইনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। দানাদার খাদ্যশস্য বিশেষ করে ধান/চাল উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ ছাড়া মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ উৎপাদনেও আমরা অনেকটা এগিয়ে। সে তুলনায় পুষ্টির বিবেচনায় বাংলাদশে এখনো অনেকটা পিছনে (বিশেষ করে অনুপুষ্টিতে)। ফল শ্রুতিতে রক্ত শূন্যতা, বামনতা, কম ওজনের বাচ্চা প্রসব আমাদের দেশের নিত্য দিনের ঘটনা। যার অন্যতম কারণ অপুষ্টি এবং সঠিক পুষ্টি জ্ঞানের অভাব। আর যারা আমাদের এই খাদ্যের যোগান দেয়, তাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ভাল রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া আমরা খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে পরতে পারি। এরই লক্ষ্যে গেইন বাংলাদেশে কৃষকদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে রেইনস প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।