ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ পৌরশহর ঘেঁষে চাপোড় এলাকায় পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ পাকা সড়কের ২ পাশে বিস্তীর্ণ আবাদী জমির বুক ছিড়ে রয়েছে ৫টি ইটভাটা । পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই ভাটাগুলো চলছে বছরের পর বছর। ভাটাগুলোর আশপাশের কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ৮০ থেকে ১০০ বিঘা । প্রতি মৌসুমে ইট তৈরিতে প্রয়োজনীয় মাটি ঐ ভাটাগুলোর মালিকেরা আশপাশের কৃষি জমির উপরিভাগ থেকে সংগ্রহ করে থাকে; যা ফসলি জমির মাটির উর্বরতা বিনষ্ট করে ফেলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বানু এসএফটিভিকে মুঠোফোনে বলেন, ” আবাদী জমির উপরিভাগের ৬-৮ ইঞ্চি ফসলের জন্য বিশেষ করে ধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । “আবাদী জমির উপিরিভাগের মাটি স্তুপাকারে রেখে সেখান থেকে ইট তৈরি করা হয় । এই ইট আবার পোড়ানো হয় কাঠের আগুনে । যা পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ । ফলশ্রুতিতে ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে আম ও লিচুগাছের মুকুল এবং ব্যহত হচ্ছে অন্যান্য ফসলের উৎপাদন। ইটভাটার ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকার বসবাসরত মানুষের বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে ভুঁগছে। ইটভাটাগুলোর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত শতশত টন কাঠখড়ি সংগ্রহ করতে হয় নির্বিচারে গাছ কেটে । পীরগঞ্জের গুয়াগাঁও মৌজা ও চাপড় এলাকার নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলার কারণে এক যুগের ব্যবধানে এখন নেই বললেই চলে । পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রমিজ আলম মুঠোফোনে এসএফটিভি প্রতিনিধিকে জানান,”ভূক্তভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব, ফসলের ক্ষতি হবে, নির্বিচারে গাছ কাটা হবে, পরিবেশ দূষণ হবে এসব কখনোই মেনে নেওয়া যায়না ।”