শেরপুরে সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যৌথ অভিযানে ৩৭৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় মাদক বিক্রির ৫৬ হাজার ৭০০ টাকা টাকাসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তার রহিমা বেগম (৫৮)। গত রবিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙা গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃত রহিমা ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই নারী ও তার ছেলে রফিকুল এলাকায় নেশার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙা গ্রামে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই গ্রামের একটি বাড়িতে মাদক বেচাকেনা হয়-এমন সংবাদের ভিত্তিতে নূর মোহাম্মদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে রহিমা বেগমের কাছে থাকা ৩৭৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে মাদক বিক্রি ও মজুদের অপরাধে রহিমা বেগমকে আটক করা হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে রহিমা বেগমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৯) আগেই পালিয়ে যান। এ অভিযানে সেনাবাহিনীর ১৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক, সেনাবাহিনীর শেরপুর ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর তাওসিফ বিন হাসান, ক্যাপ্টেন নাহিয়ান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদ জানান, শেরপুর থেকে মাদক নির্মূলে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকবিরোধী যৌধ অভিযানে এক নারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক রফিকুলকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।