মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম উল্লেখ করে বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনে আমাদের বাচ্চারা জীবন দিয়ে শিখিয়ে গেছে। সমাজে যে অন্যায়, নির্যাতন ,দুর্নীতির অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকে মুক্তি পেতে আলোর পথ দেখাতে সংগ্রাম করেছিল তারা। তিনি বলেন, মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়তে চাই, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সমাজ পরিবর্তনে আমাদেরকে এগুতে হবে।
তিনি আজ হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে Accelerating Action to End Child Marriage in Bangladesh (Phase-ll) প্রকল্পের আওতায় বাল্য বিবাহ নিরোধ : সমস্যা ও করনীয় ” শীর্ষক একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন ।
কর্মশালায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বেগম মমতাজ আহমেদ এর সভাপতিতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের এডোলেসেন্ট এন্ড ইয়ুথ চিফ ইলিজা আজয়েই, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফিরোজ উদ্দিন খলিফা। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোঃ আব্দুল হালিম। কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধিবর্গ বাল্যবিবাহ নিরোধ, সমস্যা ও করণীয় বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা বলেন, বাল্যবিবাহ শিশুদের জন্য একটি বড় অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে মুক্ত পেতে আমাদের সকলের সমন্বিত সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন ,আমাদের দেশে যেখানে নারী নির্যাতন, শিশু বাল্যবিবাহ হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়েকে জানাতে হবে এবং আমরা দ্রুত একশানে যাবো। আমরা মনিটরিং এর মাধ্যমে যদি গ্রামে গ্রামে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে পারি তাহলে বাল্যবিবাহ কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ নিরধে আইনের বিধান আছে তা যথাযথভাবে ইমপ্লিমেন্ট হচ্ছে না, আমাদের এখন সুযোগ এসেছে আমরা সমাজে যেখানে যে দুর্বলতা আছে তা চিহ্নিত করে নতুনভাবে কমিটি করে তা সমাধানে কাজ করতে হবে। যারা কমিটিতে থেকে কাজ করছে না তাদেরকে পরিবর্তন করে দুর্নীতি মুক্ত, সত্যের পথে এগুতে হবে।