বিভিন্ন পর্যায়ের অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতা এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক বিএসএফ এর সাথে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে বিএসএফের বাধায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বহুল প্রতীক্ষিত আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদানদী অংশের কাজ অদ্য ১২ মার্চ ২০২৩ তারিখে পুনরায় শুরু হয়েছে।
আজ সকালে বিজিবির সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, পিবিজিএম প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সরাইল রিজিয়নের কমান্ডার সাংবাদিকদের বলেন, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পটি আমাদের জাতীয় পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। গত ০১ নভেম্বর ২০১৬ সালে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হলেও কসবা ও সালদানদী স্টেশন দুটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ার কারণে বিএসএফের বাধায় কাজটি গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে বন্ধ হয়ে যায়।
প্রকল্পটির অনিষ্পন্ন কাজ পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে এবং রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে বিজিবি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিশেষ করে গত জুলাই-২০২২ মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়। গত সেপ্টেম্বর ২০২২ মাসে ভারতের নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পটির বিষয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়াও অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও প্রকল্পটির অনিষ্পন্ন কাজ শুরু করার ব্যাপারে ফলপ্রসু আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ০১ মার্চ ২০২৩ তারিখে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি আখাউড়া আইসিপি, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদানদী স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজটি পুনরায় শুরু হয়েছে। রিজিয়ন কমান্ডার আরো বলেন, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে এটি দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।