সিলেট সদর উপজেলার বাদাঘাট এলাকায় ১৮ বছর পর প্রায় ৪ একর জায়গা উদ্ধারে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করছে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার সকাল ৯টায় উচ্ছেদ অভিযানকালে আধাপাকা ও টিনের প্রায় ৭০টি অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ সাংবাদিকদের জানান, এখানে একসনা লিজ দেওয়া হয়েছিল; ভূমিতে দোকানপাট নির্মাণের কোনো বিধিবিধান ছিল না। তারপরও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিলেন। একসনা লিজের শর্ত অনুসারে কোনো অবস্থায় লিজকৃত জায়গায় স্থায়ীভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব শর্তাবলী কেউ লঙ্ঘন করলে লিজ আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যায়। এসব শর্ত রেখেই এখানে একসনা লিজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লিজের শর্ত ভঙ্গ করে এখানে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল।’ সিলেট জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বাদাঘাট বাজারে প্রায় ১৮ বছর আগে জেলা পরিষদের চার একর জায়গা লিজ দেওয়া হয়েছিল। একসনা লিজ অনুসারে এক বছর পর জায়গা জেলা পরিষদের আওতায় চলে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। যারা লিজ নিয়েছিলেন, তারা নবায়নও করেননি। গত প্রায় দেড় যুগ ধরে সেখানে স্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। জায়গা উদ্ধারে স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের সাথে বৈঠক করা হয়। পরে দোকানপাট ও মালামাল সরিয়ে নিতে নোটিশ ও নির্দিষ্ট সময় প্রদান করা হয়। নোটিশের পর অনেকে নিজেদের মালামাল সরিয়ে নেয়; অনেকে আবার সেখানে রয়ে গিয়েছিলেন। উচ্ছেদ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান, মস্তাক আহমদ পলাশ, জেলা পরিষদ সদস্য মোছাদ্দিক আহমদ, মো. নাসির উদ্দিন, মো. আব্দুল হামিদ, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, ইফজাল আহমদ চৌধুরী উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ ও সূর্য্যসেন রায়, সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান প্রমুখ।