রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে চাকরির নিয়োগের অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগকারী সূত্রে সোমবার (৬ই ফেব্রয়ারী ২০২৩) সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজে লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষার মাধ্যমে সাতজনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে সাতটি পদের জন্য ৪২ জন পরীক্ষা দেয়। তার মধ্যে একটি পদে পরিচ্ছন্ন কর্মী নেওয়া হবে। সেই পদের জন্য ৪ জন হরিজন সম্প্রদায়ের ও ৩ জন মুসলমান আবেদন করেন। মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন এই চারজন হরিজন এর মধ্যে একজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুুই লক্ষ আশি হাজার টাকা জামানত নেয়। পরবর্তীতে হরিজন প্রর্থীকে চাকরি না দিয়ে আজিজুল নামের মুসলমান প্রার্থীকে মোটা অংকের বিনিময়ে চাকরি দেয়। পরে অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন হরিজনকে চাকরি না দিয়ে টাকা ফেরত দেয়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের কারণে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রাপ্য চাকরি মুসলমানকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে হরিজন অভিযোগ করে বলেন আমরা জাত হরিজন আমাদের কাজ ময়লা, আবর্জনা ও পায়খানা পরিষ্কার করা।অথচ আমাদেরকে চাকরি না দিয়ে হরিজনের প্রাপ্য পদে চাকরি মুসলমানদের দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারী বলেন, চাকরির পাওয়ার আশায় আমার সবকিছু সস্তা দামে বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন কে দিবে আমার ক্ষতি পূরণ।
এ বিষয়ে জানার জন্য মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন বলেন, যথা নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি।
মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রানু বলেন, নিয়োগ নিয়ে কোন অনিয়ম হয় নাই। বর্তমানে অনিয়ম হওয়ার কোন সুযোগ নাই। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এস এম আব্দুল মতিন লস্কর বলেন, নিয়োগ নিয়ে কোন অনিয়ম হলে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ গেলে তারা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।