ঠাকুরগাঁওয়ে নারী ও শিশু মামলায় মো: ফারুক আলম ওরফে ফারুক নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করা হয়। ১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো: গোলাম ফারুক এ রায় প্রদান করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৭ এপ্রিল ধর্ষনের অভিযোগ এনে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী নারী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঐ নারীর শশুড়বাড়ি পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুরে ছিল। তার স্বামীর সাথে আসামী ফারুকের ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব ছিল। এই সুযোগে বন্ধুর বিষয়ে ঐ নারীকে বিভিন্ন রকম খারাপ কথা বলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেন ফারুক। পরে ঐ নারী অত্মস্বত্তা হয়ে পরেন। ফারুকের কথা বিশ্বাস করে ঐ নারী তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে বিয়ের জন্য তাকে জানালে সে কালক্ষেপন করতে থাকেন। এ বিষয়ে শালিস বৈঠকে ফারুক অভিযোগ স্বীকার করে নেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সদর থানার এসআই আদিল হোসেন তদন্ত শেষে ফারুকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চুড়ান্ত পুলিশ রিপোর্ট প্রদান করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল মামলার ৫ আসামীর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মো: ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আসামি ও প্রসিকিউশন পক্ষের বিজ্ঞ কৌশুলীর যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে আদালত মো: ফারুক হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। আদালত এ মামলায় অন্যান্য আসামীগণকে অব্যাহতি প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ছিলেন বিজ্ঞ বিশেষ পি.পি,আবু তৈয়ব মো: নজমুল হুদা ও আসামীপক্ষে ছিলেন এ্যাড. মো: জয়নাল আবেদীন।