জাহাজে করে হজযাত্রী প্রেরণ বিশ্বে দেশীয় পর্যটন খাতকে আরো আকর্ষণীয় করবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর একটি হোটেলে পর্যটন বিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে দেশব্যাপী পরিচালিত অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের কক্সবাজারের সাবরাং নাফ ও সোনাদিয়াতে তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরসমূহের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, পুরনো টার্মিনাল সংস্কার, যশোর সৈয়দপুর কক্সবাজার প্রভৃতি বিমানবন্দরকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিডের কারণে পর্যটন শিল্প কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও বর্তমানে এ খাতের উন্নয়নে কাজ চলছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতিমধ্যে ‘ট্যুরিজম রিকভারি প্ল্যান’ ও এ সংশ্লিষ্ট ২০টি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত পর্যটন শিল্পে কী পরিমাণ কর্মসংস্থান হবে, তা নিরুপণের জন্য ন্যাশনাল ট্যুরিজম হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ২০১০ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করা হয়েছে। সরকারের এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে ২০১৯ সালের ১ কোটি পর্যটক থেকে ২০২২ সালে বেড়ে তা ২ কোটিরও বেশি হয়েছে।
বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল, এয়ার এস্ট্রার প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ, ইউএস বাংলার ম্যানেজার কামরুল ইসলাম, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের মার্কেটিং প্রধান আ্যানা মে ডিয়াল।
###