কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বসত ঘরের আঙ্গিনায় ‘বায়োফ্লক’মাছ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মমিন। শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে সখের বশে আঙ্গিনায় মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ শুরু করেন। রাজারহাট সদর ইউনিয়নের খালিসা (কৈলাশ কুটি) গ্রামের শিক্ষক আব্দুল মমিন (৪৫) ২০২১ সালে আঙ্গিনা এক শতাংশ জমিতে মাছ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন। পরবর্তীতে আরও প্রায় তিন শতাংশ বাহির আঙ্গিনায় তিনি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন। শিক্ষক আব্দুল মমিন বলেন, মূলত তিনি থাই কই এবং টেংরা মাছ চাষ করেছেন। প্রজেক্টে তার তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিনি লাভ করতে থাকেন। তার এই প্রজেক্ট দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিশেষ করে তরুণরা ভিড় করতেছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক বেকার যুবক এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।এছাড়া তার একটি ব্রয়লার খামার রয়েছে। দর্শনার্থী আতাউর রহমান বলেন, মমিন ভাইয়ের প্রজেক্ট দেখে আমি উৎসাহ বোধ করতেছি। ভবিষ্যতে আমি এ ধরনের প্রজেক্ট করব। উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আরিফুল আলম বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালিসা (কৈলাশ কুটি) গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায় ‘বায়োফ্লক’ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন তা আমি দেখেছি এবং নিয়মিত খোঁজ খবর ও কারিগরি পরামর্শ দিতেছি। এটা এলাকার বেকার যুবকদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। সরকার থেকে কোনো ধরনের প্রনোদনা আসলে তার সহায়তার ব্যাপারে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবচেতনা /এমএআর