ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু আবু বক্কর ওরফে মাইনুল হাসানকে (৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাগল ডাকায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযোগ বুঝে নিজ বাড়িতে নিয়ে ছুরি দিয়ে জবাই করে শিশু মাইনুল হাসান ওরফে আবু বক্কর (৪)কে হত্যা করে একই মহল্লার সাব্বির (২০)।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৪র্থ) আদালতের বিচারক সাখাওয়াত হোসেনের কাছে কাছে এই তথ্য জানিয়ে কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘটনার পর প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে আটক সাব্বির।
সাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কান্দিপাড়ার মাইমল হাটির মৃত. মফিজ মিয়ার ছেলে। সে শহরের বিভিন্ন বাজারে মাছ কেটে আয় রোজগার করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান- সাব্বির ও মাইনুল হাসান ওরফে আবু বক্কর একই এলাকার বাসিন্দা। সাব্বির ছোট আবু বক্করকে প্রায় সময় ডেকে আব্বা ডাকতে বলতেন। কিন্তু শিশু আবু বক্কর প্রায় সময় সাব্বিরকে পাগল ডাকতেন।
প্রায় এক মাস আগে, শিশু আবু বক্কর ঢিল দিলে মাথায় আঘাত পান সাব্বির। এরপরই মূলত আবু বক্করকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাব্বির। শুক্রবার রাতে সবার অগোচরে শিশু আবু বক্করকে সাব্বির তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সাব্বির তার বড় ভাইয়ের কক্ষে মেঝেতে ফেলে বাম হাত দিয়ে মুখ এবং হাটু দিয়ে শরীর চেপে ধরে ছুরি দিয়ে শিশু আবু বক্করকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে ড্রেনে পড়ে থাকা একটি বস্তায় ঢুকিয়ে আবু বক্করের লাশ পাশের বাড়ির টিউবওয়েলের কাছে ফেলে দেয়।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে সাব্বিরকে আটক করা হয়। পরে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। এই ঘটনায় আবু বক্করের বাবা হাসান মিয়া বাদী হয়ে সাব্বিরসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার মাইমল হাটি মহল্লা থেকে শিশু মাইনুল হাসান ওরফে আবু বক্করের (৪) বস্তাবন্দী গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।