যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের এলাকায় চালুয়াহাটি ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের কৃষক দুই ভাই রেজাউল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন নিজ জমিতে চুঁই চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
সাধারণত গ্রামাঞ্চলের বাগানে ও বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন গাছের গোড়ায় লাগানো হতো চুঁই। সেই চুঁই ফসলি জমিতে চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ওই দুই সহোদর। নিজেদের চার বিঘা উঁচু জমিতে ঢিবে করে ৮ ফুট অন্তর খুটি গেড়ে তার গোড়ায় চুঁই চারা রোপণ করা হয়েছে।
খুঁটি হিসেবে জিয়েলের কঁচা ব্যবহার করা হয়েছে। আর রোপণের পাঁচমাস পার হতে না হতেই চুঁই গাছ সাত আট ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এই গাছের পাতা অনেকটা পানের পাতার মতো দেখতে, তাই দূর থেকে এই ক্ষেতটি দেখলে মনে হয় যেন পান ক্ষেত।
গাছের আকার দেখে কৃষকদের ধারণা করা অধিক পরিমান চুঁই কাটা যাবে। ক্ষেত মালিক রেজাউল ইসলাম বলেন, ধান-সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষে অনেক শ্রম ও ব্যয় করতে হয়। কিন্তু চুঁই চাষ অনেকটা সহজ ও খরচ কম।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ফসলী জমিতে নতুন চুঁই চাষ করা হয়েছে। তাই কেমন ফলন পাওয়া যাবে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না তারপরও ধারণা করছি খরচের তুলনায় ১০ গুণ লাভবান হওয়া যাবে। বলে আমি ধারনা করছি।
চুঁই চাষের প্রতি এতো আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আমাদের এলাকায় কখনো লেবুর চাষ করতে দেখিনি। অথচ সেই লেবু আমাদের মাঠে মাঠে চাষ হচ্ছে। তাই আমি ভাবলাম যদি মাল্টা লেবুর চাষ হতে পারে তাহলে কেন ফসলি জমিতে চুঁই চাষ হবে না। এমন চিন্তা ভাবনায় আমি ফসলি জমিতে চুঁই চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
উপজেলার রাজগঞ্জের চালুয়াহাটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম মারুফুল হক বলেন, চুঁই চাষের কথা শুনে আমি সেখানে যেয়ে দেখি অনেকটা সহজ পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে ফসলি জমিতে চুঁইই চাষে কি পরিমাণ লাভ হবে তা বোঝা যাবে চুঁই বিক্রির পরে।