সিলেটে ইজতেমা কে ঘৃরে নানা গুনজনের শেষ নেই। সকল বাধা বিপত্তির কারণ সিলেটের বিএনপির সমাবেশ। ইজতেমাকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনটি আশঙ্কা করা হয়েছিলো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়ে ছিলো ইজতেমা পেছানোর জন্য। এ আপত্তি আর অনুরোধ উপেক্ষা করে একদিন আগে থেকেই সিলেটে শুরু হয়ে গেছে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ইজতেমা। আজ ও শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ আপত্তি জানানোর পর বুধবার (১৬ নভেম্বর) থেকেই শুরু হয় ইজতেমার কার্যক্রম।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মাঠে বুধবার সকাল থেকেই জড়ো হন আয়োজকদের অনেকে। এই মাঠেই ফজর ও জোহরের নামাজ আদায় করেন তারা। যদিও মঙ্গলবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমার আয়োজন কয়েক দিন পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো। বিএনপির সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা থেকে এমন অনুরোধ করা হয় বলে জানিয়ে ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুদীপ দাস।
১৯ নভেম্বর নগরের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশের সময়ে ইজতেমা আয়োজনে আপত্তি পুলিশের। তবে পুলিশের এমন আপত্তি আর অনুরোধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন আয়োজকরা। পুলিশের নির্দেশনা পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতেই তাদের অনেকে ইজতেমা স্থলে সমেবত হন। আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির বরুণার পীর হিসেবে পরিচিত মুফতি মাওলানা রশীদুর রহমান ফারুকও রাতে ইজতেমা মাঠে আসেন। পুলিশের আপত্তির কারণে বুধবার (১৬ নভেম্বর) থেকেই ইজতেমা শুরুও ঘোষণা দেন তিনি। যা চলবে শনিবার পর্যন্ত। এ ব্যাপারে আয়োজক সংগঠনের আমির মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক বলেন, আমরা সব আয়োজন সম্পন্ন কওে ফেলেছি। আলেম উলামারাও আসতে শুরু করেছেন।
এ অবস্থায় ইজতেমা পেছানা সম্ভব নয়। তবে আমরা আইন মান্য করি। এখানে কেউ বিশৃঙ্কলা করবে না। এখান থেকে কেউ বিএনপির সমাবেশেও যাবে না।