বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের (এটিএফ) নবম আয়োজন শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। এবারের আয়োজন হবে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)। চলবে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যানসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধারের জন্য এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের আয়োজন অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে উৎসাহিত করবে। এছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটন সংস্থা মেলায় অংশগ্রহণের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটন শিল্পের দারুণ প্রচার-প্রচারণার সুযোগ বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য পর্যটন এখন একটি অন্যতম শিল্প হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ শিল্পের উন্নয়নের বিভিন্ন সময়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন এবং নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পর্যটনবান্ধব সরকার। আশা করা যায়, সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগামী কয়েক বছরেই এদেশের পর্যটন শিল্প কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক ও এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মো. মাহিউদ্দিন হেলাল। তিনি বলেন, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নবম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহযোগিতায় মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
মাহিউদ্দিন হেলাল বলেন, আসন্ন নবম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে আটটি দেশ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশসহ নেপাল, থাইল্যান্ড, ভারত, মালোশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও লিথুনিয়ার প্রায় ১৩০টি বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে ৫০টির অধিক বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেলায় আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশ-বিদেশে বেড়ানোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভ্রমণ অফার, হোটেল, রিসোর্ট বা প্যাকেজ বুকিংসহ বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজলাইন্স, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর ও থিমপার্কসহ বিনোদনের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া মেলায় বৈচিত্র্যময় আয়োজনে থাকবে পর্যটন বিষয়ক সেমিনার, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজনেস টু বিজনেস মিটিং। থাকবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ মেলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের একটি পুর্ণাঙ্গ চিত্র দর্শনার্থীদের মধ্যে তুলে ধরার প্রচেষ্টা থাকবে।
নবচেতনা /এমএআর