ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টটিও ড্র হয়েছে। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ৩৭৭ রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় উভয় দল। তাতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজও ড্র হয়। গেল কয়েক সিরিজে ধুকতে থাকা শ্রীলঙ্কার জন্য উইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র করাটা দারুণ প্রাপ্তি।
ম্যাচসেরা হয়েছেন উইন্ডিজের ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসার সুরাঙ্গা লাকমল।
এমন একটি ড্র সম্ভব হয়েছে লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে, লাহিরু থ্রিমান্নে ও অসাধা ফার্নান্দোর ব্যাটিং দৃঢ়তায়।
উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চম দিনে থ্রিমান্নে ও করুণারত্নে শতরানের জুটি গড়েন। ১০১ রানের মাথায় থ্রিমান্নে ৩৯ রান করে আউট হন। এরপর ফার্নান্দোকে নিয়ে ৪৫ রান তোলেন করুণারত্নে। দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় তিনি আউট হন কাইল মেয়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ১৭৬ বল খেলে ৯ চারে ৭৫ রান করে যান করুণারত্নে।
সেখান থেকে ফার্নান্দো ও দিনেশ চান্দিমাল দলীয় সংগ্রহকে ১৯৩ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। এরপর শেষ বিকেলে ড্র মেনে নেয় উভয় দল।
অবশ্য চতুর্থ দিনের মতো পঞ্চম ও শেষ দিনেও কিছুটা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর উইকেট থেকে উইন্ডিজের পেসার ও স্পিনাররা খুব একটা সুবিধা পাচ্ছিলেন না। তাদের ভালোভাবেই সামলেছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের ১২৬ ও রাকিম কর্নওয়ালের ৭৩ রানে ভর করে ৩৫৪ রান তোলে উইন্ডিজ। জবাবে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৫৮ রানে। লাহিরু থ্রিমান্নে ৫৫ ও পাথুম নিসানকা ৫১ রান করেন।
৯৬ রানের লিড নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। ব্রাথওয়েটের (৮৫), জ্যাসন হোল্ডারের (৭১*) ও কাইল মেয়ার্সের (৫৫) ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। তাতে আবারো পঞ্চম দিনে যায় টেস্ট। বৃষ্টিবিঘ্নিত পঞ্চম দিনে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে জয় তুলে নিতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। তাতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটিই ড্র হয়।
এর মধ্য দিয়ে কোনো সিরিজ না জিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরছে শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে লঙ্কানরা ৩-০ ব্যবধানে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হার মেনেছে।