পারলো না ভারত। পারলেন না বিরাট কোহলি নিজে। নিজেদের মাটি, চেনা পরিবেশ আর পূর্ণশক্তির দল কোনোটাই কাজে আসেনি। চেন্নাইয়ে ভারতকে ২২৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করে ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার ভারতকে জিততে হলে গড়তে হতো ইতিহাস। লক্ষ্য ছিল ৪২০। এত রান তাড়া করে এর আগে কোনো দল জেতেনি। তাড়া করতে নেমে গতকাল বিকেলে ১ উইকেটে ৩৯ রানে দিন শেষ করে। আজ টেস্টের ৫ম ও শেষ দিন খেলতে নেমে ১৯২ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে বিরাট কোহলির দল।
দিন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন ক্রিজে থাকা চেতশ্বর পূজারা। তবে ক্রিজে থাকা অপর ব্যাটসম্যান শুভমান গিল দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর আভাস। সঙ্গে ছিলেন কোহলি। দুজনে জুটি গড়ে খেলছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
৮১ বলে শুভমান দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। এর ২ বলের মাথায় জেমস অ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ ওপেনার। একই ওভারের ভারত হারায় আজিঙ্কা রাহানেকে। পরপর ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই অ্যান্ডারসনের শিকার হন ঋষভ পন্থ। আগের ম্যাচে ৯১ করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন ১১ রান করে। পন্থ সাজঘরে না ফিরতেই ওয়াশিংটন সুন্দরকে হারায় ভারত। তাকে ফেরান ডম বেস।
অ্যান্ডারসন যখন ভারতীয় ব্যাটিং তছনছ করে দিচ্ছেন এক পাশে তখন দাঁড়িয়ে অধিনায়ক কোহলি। দেখছিলেন সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিল। দলের ব্যাটিংয়ে ধসের পরও হাল ছাড়েননি ভারত অধিনায়ক। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। গড়েন জুটি। কিন্তু অশ্বিনকে থামিয়ে দেন লিচ। ভেঙে যায় ৫৪ রানের জুটি।
অশ্বিন ফেরার ৮ রানের মধ্যে দলীয় ১৭৯ রানে সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭২ রান। তার আউটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় সম্ভাবনার সব দ্বার। শেষ পর্যন্ত ১৯২ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জ্যাক লিচ। ভারতীয় ইনিংসের ভিত্তি ধ্বংস করা অ্যান্ডারসন নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, ডম বেস ও বেন স্টোকস।
টেস্টের প্রথম দিন টস জিতে ব্যাটিং নেয় ইংল্যান্ড। রুটের মহাকাব্যিক ডাবলে ভর করে ৫৭৪ রানের পাহাড় গড়ে ইংলিশরা। জবাবে ৩৩৭ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪১ রানে এগিয়ে থেকে আরও ১৭৮ রান যোগ করে রুটের দল। ৪২০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোহলিরা গুটিয়ে যান ১৯২ রানে।