ওয়ানডের পর এবার টেস্টের পালা। চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।
লম্বা সময় লংগার ভার্সন ক্রিকেট খেলেনি বাংলাদেশ। এদিকে, উইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডে। এদিক থেকে উইন্ডিজ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও অভিজ্ঞতা আর ঘরের মাঠের সুবিধা মিলিয়ে বাংলাদেশই ফেভারিট।
অনুশীলন হয়েছে সিরিয়াস মেজাজের। নির্দিষ্ট করে বললে, এক্কেবারে ম্যাচ সিচুয়েশন তৈরি করে। টেস্টে যে যেভাবে যেই পজিশনে ব্যাট করবেন, ঐ নিয়ম মেনেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের মত করেই প্রস্তুতি নিয়েছেন টাইগাররা। এছাড়া আর উপায় কি? করোনার লম্বা সময়ে টেস্ট তো দূরে থাক ঘরোয়া ক্রিকেটেও লংগার ভার্সনে কোন ম্যাচ খেলেনি ক্রিকেটাররা। তাই অনুশীলনই ছিল শেষ ভরসা। সব মিলিয়ে নিজেদের প্রিপারেশনে অবশ্য সন্তুষ্ট টাইগার কোচ।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, “প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। চ্যালেঞ্জ হলো সবার প্রস্তুতিতে একটা বিরতি ছিল। কিন্তু ভালো পারফর্মেন্সে আত্ববিশ্বাসে কমতি নেই কারো।”
এদিকে, বিসিবি একাদশের বিপক্ষে নিজেদের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটে বলে অনুশীলনটা ভালোমতই সেরেছে উইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ৮৫ করেছেন ক্যাপ্টেন ব্রাথওয়েইট। অনুশীলনটা হয়ে যাওয়াতেই ব্যাট করেননি দ্বিতীয় ইনিংসে। আরেক ওপেনার ক্যাম্পবেল প্রথম ইনিংসে করেছেন ৪৪, দ্বিতীয়টায় ৬৮। নিকরুমাহ বোনার সেকেন্ড ইনিংসে করেছেন সর্বোচ্চ ৮০ রান। বল হাতে কর্নওয়ালের আছে ইনিংসে ৫ উইকেট। কোচ ফিল সিমন্স বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেও বলছেন ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাবে টাইগাররা শুরুর দিকে থাকতে পারে নড়বড়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্স বলেন, “আমরা দুটো টেস্ট সিরিজ খেলেছি। বাংলাদেশ খেলেনি বলে ওরা পিছিয়ে থাকবে ব্যাপারটা মোটেও এমন না। ঘরের মাঠে ওরা অনেক শক্তশালী। তামিম,সাকিব,মুশফিকরা অনেক অভিজ্ঞ।”
ওয়ানডেতে দুই দলের পার্থক্যটা ছিল আকাশ-পাতাল। তবে, টেস্টে ব্যবধানটা কমে আসবে এ কথা নিশ্চিত।