সাধারণত কোনো মৌসুম অথবা টুর্নামেন্ট শেষে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন খেলোয়াড়রা। তবে খানিক ব্যতিক্রম ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ফুটবলার ওয়েইন। মৌসুমের মাঝপথেই ছেড়ে দিলেন খেলা, শুরু করলেন কোচ হিসেবে নিজের নতুন অধ্যায়।
শুক্রবার খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী রুনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির ক্লাব ডার্বি কাউন্টির স্থায়ী কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের খবর।
গত নভেম্বরের শেষভাগ থেকেই ডার্বির অন্তর্র্বতীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন রুনি। এবার আড়াই বছরের চুক্তিতে দলটি হেড কোচ হলেন তিনি। যার ফলে ইতি টানতে হয়েছে প্রায় দেড় যুগ দীর্ঘ ফুটবলার ক্যারিয়ারের।
২০০২ সালে ইংল্যান্ডের ক্লাব এভারটনের হয়ে সিনিয়র পর্যায়ে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন রুনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আর্সেনালের বিপক্ষে করেন নিজের প্রথম পেশাদার গোল। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি নিজেকে পরিণত করেছেন ইংল্যান্ড ফুটবলের একজন কিংবদন্তি হিসেবে।
এভারটনের জার্সিতে দুই মৌসুম খেলার পর তিনি চলে যান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। সেখানেই কাটান ক্যারিয়ারের স্বর্ণসময়। ম্যান ইউর হয়ে খেলেছেন ২০১৭ সাল পর্যন্ত। মাঝের সময়ে করেছেন ২৫৩টি গোল। যা কি না ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
শুধু ক্লাব নয়, ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়েও সর্বোচ্চ ৫৩ গোলের রেকর্ড রুনির দখলে। আউটফিল্ড খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ (১২০) ম্যাচ খেলা ফুটবলারও তিনি।
ম্যান ইউর হয়ে প্রায় ১৩ বছর খেলার পর তিনি ফেরেন এভারটনে। সেখান থেকে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেডের। পরে ডার্বি কাউন্টির খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে ফেরেন ইংল্যান্ডে।
গত নভেম্বরে ফিলিপ কোকু বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এবার তাকে হেড কোচ বানিয়েছে ডার্বি কাউন্টি। রুনি দায়িত্ব নেয়ার আগে ১৩ ম্যাচে মাত্র ১টি জিতেছিল ডার্বি। রুনির অধীনে খেলা ৯ ম্যাচে তারা হেরেছে মাত্র ২ ম্যাচ, জয় ৩ ও ড্র ৪টি ম্যাচে।
শনিবার রটারহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের স্থায়ী কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ কিংবদন্তি ফুটবলার।