উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির কথায় মিলেছে আশা। কলকাতার প্রিন্স সৌরভ গাঙ্গুলির কোনো বিপদ নেই এখন। এরপরও পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ (৬ জানুয়ারি) বাড়ি ফিরলেন না ‘ভারতীয় ক্রিকেটের দাদা’ সৌরভ গাঙ্গুলি। নিজ ইচ্ছায় হাসপাতালে থাকবেন আরো একটি দিন।বুধবার সকালে কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে যাবার কথা ছিল গাঙ্গুলির। সব রকমের প্রস্তুতি সেভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে হাসপাতাল থেকে বের তিনি হননি। পরে জানা যায়, সাবেক এই অধিনায়ক নিজেই আরো একদিন পর অর্থ্যাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাড়ি যেতে চান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উডল্যান্ডসের প্রধান নির্বাহী রুপালী বসু। আজ গাঙ্গুলি বাড়ি ফিরবেন, এজন্য সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান তার ভক্তরা। সবার হাতে দেখা যায় ‘দাদা ইজ ব্যাক‘ লেখা প্লে কার্ড। মানুষজনের উপস্থিতি ছিল কলকাতা মহারাজের বেহালার বাড়ির সামনেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। সৌরভের হৃদপিণ্ডের বাকি দুটি ধমনীতে এখনই কোনো স্টেন্ট বসানো হবে না। হাসপাতালে সৌরভের সঙ্গে কথা বলেন দেবী শেঠী। সৌরভের কাছ থেকে খুঁটিনাটি পুরো বিষয় আরও একবার মন দিয়ে শোনেন তিনি। দেখেন সব রিপোর্ট। সৌরভের চিকিৎসার জন্য গঠন করা মেডিকেল বোর্ডের নয়জন চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন দেবী শেঠী। সেই আলোচনাতেই সৌরভের বাকি দুই ব্লকড ধমনী নিয়ে মত বিনিময় হয় চিকিৎসকদের মধ্যে। তারপরই ঠিক হয়, ওই দুই ধমনীতে এখনই স্টেন্ট কিংবা বাইপাস সার্জারি করা হবে না। সেই সঙ্গে সৌরভকে হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই। সাংবাদিকদের দেবী শেঠী বলেন, ‘হার্ট অ্যাটাক হলেও সৌরভের হৃদযন্ত্রে কোনো সমস্যা নেই। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা হবে না। একেবারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। সৌরভ ধূমপান করেন না। অন্য কোনো বদভ্যাসও নেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। সৌরভ সবই করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন কোনো শারীরিক পরীক্ষা করাননি। যে পরীক্ষা এই দেশের রাস্তার পাশের যে কোনো ল্যাবরেটরিতেও করানো যায়। ফলে আগে থেকে তার অসুখের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। ‘ এদিকে হাসপাতালের সিইও রূপালি বসু জানিয়েছেন, সৌরভের বাকি দুটি ধমনীতে স্টেন্ট বসানো হবে। তবে তা এখনই হচ্ছে না। চিকিৎসকরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনজিওপ্ল্যাস্টি করা হবে, তবে তা কবে এবং কখন তা নিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।