প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার সকালে ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা। এর মাধ্যমে সংগঠনটির ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করে আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া সংগঠন এই ছাত্রলীগ। এই দেশের ইতিহাসের সৃষ্টিলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটি অর্জনে ছাত্রলীগের অংশীদারিত্ব আছে। আমরা তরুণ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা নিয়েই ছাত্রলীগ জনপ্রিয় ছাত্রসংগঠন হিসেবে পরিচালিত হয়। জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের একটাই লক্ষ্য অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবো। তিনি বলেন, এ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিদর্শন হয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। লেখক ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া আন্দোলন সংগ্রামের মহাকাব্যিক পথচলার গর্বিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৩ বছরে, সারাদেশের সকল নেতাকর্মীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাবো। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল- সকাল সাড়ে সাতটায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও দেশব্যাপী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা। সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে কেক কাটা, সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধি টিম কর্তৃক শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকাল চারটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।