পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনা নারী হামিজা মুখতারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নিজের জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কায় লাহোরের কাহ্না পুলিশ স্টেশনের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন হামিজা।অভিযোগপত্র হামিজা উল্লেখ করেছেন, কাহ্না পুলিশ স্টেশনের সামনেই মোটরবাইকে করে আসা অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি তার দিকে গুলি ছুঁড়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার জীবন এখন শঙ্কার মুখে। গত কয়েকদিন ধরেই মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছি।’এমতাবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ও ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরানের খানের কাছে নিরাপত্তার জন্য হাত পেতেছেন হামিজা। তার করা হত্যাচেষ্টা অভিযোগপত্রের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। শিগগিরই এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) আচমকা পাকিস্তানের লাহোরে সংবাদ সম্মেলন করে বাবর আজমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন হামিজা মুখতার নামে সেই নারী। হামিজার দাবি, বাবর আজম যখন কঠিন সময় পার করছিল, তখন মানসিক ও আর্থিকভাবে তাকে সাহায্য করেছিলেন তিনি।হামিজা মাখতুম নামে ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবর আজম বড় তারকা হওয়ার আগে থেকেই তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। প্রয় ১০ বছর ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলমান ছিল। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছেন। বিয়ের মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
হামিজা জানান, তিনি এবং বাবর আজম ছিলেন স্কুল বন্ধু। একই সঙ্গে পড়া-লেখা করতেন। থাকতেনও তারা কাছাকাছি। যে কারণে তাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১০ সালেই হামিজাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাবর। শুধু তাই নয়, কোর্টে বিয়ে করবেন বলে তারা দু’জন নাকি পালিয়েও গিয়েছিলেন।হামিজা জানান, এরপরই মত পরিবর্তন করে ফেলে বাবর। কারণ, ২০১২ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। খ্যাতি এবং সুনাম বাড়ছিল তার। একই সঙ্গে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলার হাতছানি তার সামনে। এসব কারণে তখন তিনি রামিজাকে আর বিয়ে করেননি।হামিজা এরপর জানান, বাবর তাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন এবং শারীরিকভাবেও নাকি নির্যাতন করেছিলেন। অথচ, তিনি নাকি এক সময় বাবরের সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন। এ বিষয়ে পিসিবিতে অভিযোগ করতে গেলে, ‘ব্যক্তিগত বিষয়’ বলে হামিজাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।