দুই স্পিনার নাহিদুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে আগেই জেমকন খুলনার বেহাল দশা করে দিয়েছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ইনিংসের ১০ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে আঁধারে পথ খুঁজে বেড়াচ্ছিল খুলনা। তাদের সেই চেষ্টাটা সফল হতে দেননি বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন খুলনার লেট-মিডলঅর্ডার।ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবারে আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজ। সে ওভারে খরচ করেন ২ রান, পাননি উইকেট। এরপর আবার ১৪তম ওভারে তাকে আক্রমণে ফেরান অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। টানা তিন ওভারের স্পেলে ৪টি উইকেট নেন মোস্তাফিজ, খরচ করেন মাত্র ৫ রান। সবমিলিয়ে ৩.৫ ওভারে ১৮টি ডট বল করেন তিনি, খুলনা অলআউট হয় ৮৬ রানে।
বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও দুর্দান্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। সেদিন মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় মুশফিকুর রহীমের ঢাকা। মোস্তাফিজের বোলিং ফিগার ছিল ৩.২-১-১৩-২। অর্থাৎ দুই ম্যাচ মিলে ৭.১ ওভার তথা ৪৩ বলে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৬টি উইকেট নিলেন বাঁহাতি এ কাটার মাস্টার। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনি।আজকের ম্যাচটিতে দলীয় ৫৭ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধের আভাস দেন খুলনার দুই ব্যাটসম্যান আরিফুল হক ও শামীম পাটোয়ারি। আগের ম্যাচটিতে এ দুজনের ব্যাটেই বলার মতো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছিল খুলনা। সেই ধারাবাহিকতায় এ ম্যাচেও শুরুটা ভাল করেছিলেন আরিফুল ও শামীম। তাদের জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ।
১৪তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই শামীমকে ফেরান ফিজ। রানের জন্য হাঁসফাঁশ করতে থাকা শামীম হাত খুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড অফে দাঁড়ানো মিঠুনের হাতে। সেই ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে মাত্র ২ রান খরচায় লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের উইকেট ঝুলিতে পুরেন তিনি।তখনও উইকেটে টিকে ছিলেন আরিফুল। ইনিংসের ১৮তম ওভারে নিজের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে আরিফুলকেও ফেরান মোস্তাফিজ। একই ওভারে আলআমিন হোসেনের উইকেট নিয়ে খুলনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিনি। শেষ ওভারটিতে ৫ বল করে কোন রানই খরচ করেননি তিনি। শেষপর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৩.৫-০-৫-৪।