ফ্যাফ ডু প্লেসি কিংবা লুঙ্গি এনগিদিদের লড়াই কোনো কাজেই আসলো না। নিজের ঘরেই পরবাসী হতে হলো যেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে সফরকারী ইংল্যান্ডের সামনে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৮০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারলো না স্বাগতিকরা। সফরকারী ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কাছে উড়ে যেতে হলো তাদের। ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।বিশেষ করে জনি বেয়ারেস্টর কাছে। মিডল অর্ডারে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানই চরমভাবে ভুগিয়েছে প্রোটিয়াদের। তার ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ঝড়ের কাছেই পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। ৬০ রানই নিলেন তিনি চার-ছক্কা থেকে।
কেপটাউনে টস জিতে স্বাগতিকদেরই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ পেসার স্যাম কুরানের বলে শুরুতেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। দলীয় ৬ রানের মাথায় ৫ বলে ৫ রান করে ফিরে যান টেম্বা বাভুমা।দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কুইন্টন ডি কক আর ফ্যাফ ডু প্লেসি মিলে গড়ে তোলেন ৭৭ রানের জুটি। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ডি কক। ২৩ বলে তিনি খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। ফ্যাফ ডু প্লেসি ৪০ বলে খেলেন সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি।রাশি ফন ডার ডুসেন খেলেন ২৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কার মার। হেনরিক ক্লাসেন ১২ বলে খেলেন ২০ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে স্যাম কুরান ২৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া জোফরা আরচার, টম কুরান এবং ক্রিস জর্ডান নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। কোনো রান না করেই ফিরে যান ওপেনার জেসন রয়। ৬ বলে ৭ রান করে আউট হয়ে যান জস বাটলার। ডেভিড মালান আউট হন ২০ বলে ১৯ রান করে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর যখন তারা কিছুটা ব্যাকফুটে, তখন দাঁড়িয়েন যান জনি বেয়ারেস্ট আর বেন স্টোকস।বেয়ারেস্ট আর স্টোকসের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৮৫ রানের জুটি। এই জুটিই জয়ের পথ দেখায় ইংল্যান্ডকে। ২৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান স্টোকস। এরপর ১০ বলে ১২ রান করেন ইয়ন মরগ্যান। স্যাম কুরান থাকেন ৭ রানে অপরাজিত।৪৮ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বেয়ারেস্ট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জর্জ লিন্ডে এবং লুঙ্গি এনগিদি নেন ২টি করে উইকেট। তাবরিজ শামসি নেন একটি উইকেট।