হরলান্ডের এই কীর্তি মেসি-রোনালদো-নেইমারেরও নেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ম্যাচ খেলতে নামবে, আর আর্লিং হরলান্ড গোল করবেন না, তা কি হয়?গত রাতেও এই ধারার ব্যতিক্রম হয়নি। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুগাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড। জোড়া গোল করেছেন নরওয়ের স্ট্রাইকার হরলান্ড, বাকি গোলটা ইংলিশ উইঙ্গার জেডন সাঞ্চোর। জোড়া গোলেই অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ। গত মৌসুমেই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে আসা এই স্ট্রাইকারের এর মধ্যেই প্রতিযোগিতাটিতে ১৫ গোল করা হয়ে গেল। তাঁর চেয়ে এত দ্রুত ১৫ গোল আর কেউই করতে পারেননি। এমনকি লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমাররাও নন। মেসি-রোনালদো–পরবর্তী যুগে যে কেন হরলান্ডকে আগামী দিনের সবচেয়ে বড় তারকাদের অন্যতম ধরা হচ্ছে, কেন রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, লিভারপুল, চেলসি কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের মতো দলগুলো তাঁর পেছনে এখন থেকেই ঘোরাঘুরি করছে, সেটারই যেন আরেকটা বড় প্রমাণ এই অর্জন।
এর আগে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচ গোল ও দশ গোল করার রেকর্ডটাও হরলান্ডেরই ছিল। কিছুদিন আগেই ২০২০ সালের গোল্ডেন বয় (বিশ্বের সেরা তরুণ ফুটবলার) হয়েছেন। সে পুরস্কারটা কেন তাঁকে দেওয়া হয়েছে, আবার দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই সেদিক থেকে হিসাব করলে এই রেকর্ড অত বেশি বিস্ময়ও জাগায় না। বিস্ময়বালকের কাছে এমন রেকর্ড ভাঙা এক রকম ছেলেখেলাই!চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৫ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে হরলান্ডকে খেলতে হয়েছে ১২ ম্যাচ। এর আগে এই রেকর্ড যাঁদের ছিল, সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসভি আইন্দহোভেনের সাবেক ডাচ্ স্ট্রাইকার রুড ফন নিস্টলরয় ও ভ্যালেন্সিয়ার সাবেক স্প্যানিশ স্ট্রাইকার রবের্তো সলদাদোর লেগেছিল আরও সাত ম্যাচ বেশি। হরলান্ড যে কেমন ঝড়ের বেগে এগিয়ে চলেছেন, এই এক তথ্যের মাধ্যমেই বোঝা যায়!এ নিয়ে চলতি মৌসুমে মাত্র ১৩ ম্যাচে ১৭ গোল করে ফেললেন হরলান্ড। ম্যাচ শেষে একটা টুইটও করেছেন হরলান্ড। লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পছন্দ করি।’ যে গতিতে এগিয়ে চলেছেন, তাঁর কথায় আপত্তি জানানোর লোকের সংখ্যা হয়তো থাকবেই না!