নিকট অতীতে প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসবের জন্য রীতিমত প্রসিদ্ধ নামটি জার্মানি। বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৭ গোল (৭-১) করেছিল তারা। এবার সেই জার্মানিকে প্রায় একই লজ্জা দিয়েছে স্পেন! নেশনস লিগে ঘরের মাঠে তাদের ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লা রোহারা। বিশাল এই জয়ে নেশনস লিগের শেষ চারও নিশ্চিত করেছে স্পেন।লুইস এনরিকের স্পেনকে আটকানোর কোনও কারিকুরিই দেখাতে পারেনি জার্মানি। উল্টো প্রথমার্ধে স্পেনকে ৩-০ গোলের লিড এনে দিয়েছেন আলভারো মোরাতা, ফেরান তোরেস ও রদ্রি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল করে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন তোরেস। ৮৯ মিনিটে শেষ গোলটি করে ৪বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হতাশা আরও বাড়িয়ে দেন মিকেল ওইয়ারজাবাল। কারণ প্রতিযোগিতামূলক খেলায় এটাই জার্মানির সবচেয়ে বাজে হার। এছাড়া বড় ব্যবধানে হারের ঘটনাও খুব পুরনো। সর্বশেষ ১৯৩১ সালে এক প্রীতি ম্যাচে তারা একই স্কোর লাইনে হেরেছিল অস্ট্রিয়ার কাছে।অপর ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও ৪-২ গোলে হেরেছে সুইডেন। হারের পর অবশ্য লিগ ‘বি’ তে অবনমন হয়েছে তাদের।এরই মধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করা ফ্রান্স গোল হজম করে বসে ৪ মিনিটে। ভিক্টর ক্লাসেনের গোলে এগিয়ে যায় সুইডেন। তবে ফ্রান্সের হয়ে নিজের গুরুত্বটা তুলে ধরতে বেশি দেরি করেননি জিরুদ। ১৬ মিনিটে সমতায় ফেরান দলকে। ৩৬ মিনিটে স্কোর ২-১ তরেন বেনজামিন পাভার্দ। এর পর অবশ্য আর পেছনে তাকাতে হয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ৫৯ মিনিটে জোড়া গোলটি তুলে নেন জিরুদ। ৮৮ মিনিটে রবিন একটি গোল শোধ দিলেও লাভ হয়নি সুইডেনের। যোগ করা সময়ে স্কোর ৪-২ করে ফেলেন কিংসলে কোমান।একই গ্রুপে হেরে অবনমন এড়িয়েছে ক্রোয়েশিয়া। পর্তুগালের কাছে তারা হেরে ৩-২ গোলে। তবে দুই দলের লড়াইটা ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।২৯ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া এগিয়ে যায় মাতেও কোভাচিচের গোলে। পর্তুগাল গোলের দেখা পায় দ্বিতীয়ার্ধে। এর আগে অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ক্রোয়েশিয়া।৫২ মিনিটে পর্তুগিজদের সমতায় ফিরিয়েছেন ম্যানসিটি ডিফেন্ডার দিয়াজ। ৬০ মিনিটে পর্তুগালের স্কোর ২-০ করেন ফেলিক্স।তার পরেও হাল ছেড়ে দেয়নি ১০ জন নিয়ে খেলতে থাকা ক্রোয়েশিয়া। ৬৫ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান কোভাচিচ। কিন্তু শেষ দিকে পর্তুগাল ম্যাচ জিতেছে দিয়াজের একক নৈপুণ্যে। ৯০ মিনিটে দিয়াজের স্কোরে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পর্তুগাল।এই জয়ে লিগ ‘এ’র- গ্রুপ-৩ থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করছে পর্তুগাল। শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। সুইডেনের সমান ৩ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করছে ক্রোয়েশিয়া।