আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রক্তের দাগ আর ষড়যন্ত্রের নকশা, তারাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মুখোশপরা ফেরিওয়ালা।
তিনি সোমবার সকালে রাজধানীর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অপরাজনীতিই এ দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে বড় বাধা।
সরকারের পদত্যাগ চেয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে, অথচ এ সময়ে কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে তারা নন ইস্যুকে ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।
‘বিএনপি একবার নিরাপদ সড়ক, আবার কোটাবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে ভর করে সরকারের পদত্যাগ চেয়েছিল, যা হালে পানি পায়নি।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের সব রাজনৈতিক আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই, সময় এলেই সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন– জনগণের উত্তাল ঢেউ নাকি রাজপথে উঠবে। মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেন, তা নিজে বিশ্বাস করতে পারেন কিনা?
তিনি বলেন, ঢেউ তারা টেমস নদীর পাড় থেকে গুলশান অফিসে তুলতে পারেন কিন্তু পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পলিবিধৌত মুজিবের বাংলায় নয়।
বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাঢ়ের আকাশের মতো। সোশ্যাল মিডিয়া আর গণমাধ্যমে যতটা গর্জে বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলে বারবার মিথ্যা ও পুরনো অভিযোগ করে চলছে, সরকার নাকি ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না?
বিএনপি নেতাদের এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের মাঝেই পরমতসহিষ্ণুতা আছে; আর আছে বলেই বিএনপি অনবরত মিথ্যাচার করতে পারছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম তিন মাসে ৫০ সাংবাদিক আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন, তখন খোদ গণমাধ্যম রিলেটেড সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর এক রিপোর্টে তা প্রকাশ হয়েছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এখন গণমাধ্যমের প্রতি লোকদেখানো লিপ সার্ভিস দিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র এক টাকার বাইসাইকেল নয়, এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামো, সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।