কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু কয়েক দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় আশানুরূপ উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এ কারণে মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়ারা মিলে অধিক মুনাফা লাভের জন্য নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকার এদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে খুব সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে আছে।
রোববার টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভার ৯ কোটি ৮৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাড়ে ১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনায় নানা সংকট সৃষ্টি হলেও কাউকে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতো কৃষিজমির প্রতিটি ইঞ্চি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর নানামুখী প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ৯০ টাকা কেজির সার ১৬ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে পৃথিবীর অনেক অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পন্ন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে উন্নত দেশ যখন মহামারীতে বিপর্যস্ত; তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মহমারীকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রতিশ্রুতির তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়ন কয়েকগুণ বেশি হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা যা বলি তা বাস্তবায়ন করি। আগামীতে মধুপুর পৌরসভার উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ হবে। এজন্য তিনি নৌকার মনোনীত প্রার্থীর জন্য ভোট প্রত্যাশা করেন।
মধুপুর পৌরসভার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড উদ্বোধন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী প্রমুখ।