বগুড়া আদমদীঘিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে চলেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাঁশ ও বেত শিল্প। বাড়ির পাশেই বাঁশঝাড় কিংবা বেত বন গ্রামবাংলার চিরায়ত একটি সুন্দর রূপ। এক সময় এ দেশেরই বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ বেত দিয়ে তৈরী হতো নানা নিত্য প্রয়োজনীয় রাহারি পণ্য। এখন সেই বাঁশ ও বেতের তৈরী পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। দিন দিন এই শিল্পের কদর কমে যাচ্ছে একদম।চরম দুর্দিন নেমে এসছে শিল্পটির সাথে জড়িতদের জীবন যাপনে। কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় নান রূপে প্লাস্টিক সামগ্রী বাজারে আশার কারনে এ শিল্পটি আজ ধংসের কারন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বগুড়া জেলার ৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত আদমদীঘি উপজেলা। এক সময় এ উপজেলার বড় আখিড়া, বিনাহালী, ধনতলা, কুন্দগ্রাম, বশিকোরা, বেজার, বিহিগ্রাম, তারাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার এই ঝাঁড়ু, র্যাক, দোলানা, ডালি, মাছধরা পলিসহ নানা সামগ্রী তৈরী করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করতনে। সংসারে ছিলনা এদের অভাব আর অনাটন। বর্তমানে উপজেলায় বাঁশ-বেত নেই বললেই চলে। উপযুক্ত রক্ষনাবেক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব এবং বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে চারুশিল্পের চাহিদা দিন-দিন কমে যাওয়ার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশ ও বেত তৈরী চারুশিল্প। বড়আখিড়া ও বিনাহালি গ্রামের ঝাঁড়ুু ও দোলনা তৈরীর কারিগর সুবোল, উপেন্দ্র নাথ, বরেন্দ্র নাথ, বিপ্লব, ললিতা, কল্পনা, অনিতা জানান, পূর্ব পুরুষদের পেশা ধরে রাখতে দীর্ঘদিন যাবত এ পেশায় রয়েছি। বর্তমানে বাঁশ ও বেতের সংকট ও চড়া মূল্য হওয়াই তৈরী পণ্যের মূল্য পাওয়া যায়না। আবার বাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে দিন দিন কমে যাচ্ছে এইসব সামগ্রীর চাহিদা। কারিগরদের দাবী সরকারি ভাবে অর্থনৈতিক সহযোগীতা পেলে হয়তো ফিরে পিতে পারে গ্রামগঞ্জের এই চীরচেনা শিল্পটি।