মাদারীপুর জেলা পুলিশের একটি দল প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা থেকে জ্বীনের বাদশার সহযোগি দুই সদস্য গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, চট্টগ্রামের রাউজান থানার গোশতী মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত. মনিরুল হকের ছেলে জ¦ীনের সহযোগি জসীম উদ্দিন ইউসুফ (৩৬), ও একই থানার বাগওয়ান লাম্বুর হাট গ্রামের জসীম উদিনের ছেলে আব্দুর রহমান আমান (২২)। মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বুধবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম হাজরাপুর গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী মোসাঃ রহিমা বেগম গত ৯ আগস্ট সদর মডেল থানায় প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, টিভির বিজ্ঞাপন দেখে জানতে পারেন যে, তাহাদের নিকট হতে ঔষুধ ক্রয় করিলে এলার্জি চর্মরোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে। বিজ্ঞাপন দেখে মোবাইল নম্বরে ফোন করিলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানায়, তাহার গুরুজীর সাথে কথা বলিলে সব সমস্যা সমাধান করিয়া দিবেন। গুরুজীর সাথে কথা বলার চার্জ হিসেবে ৩২০ টাকা দিতে হবে। সেই থেকে তিনি গুরুজীর সাথে কথা বলিয়া তার পাঠানো তাবিজ ও ঔষুধ সেবন করিতে থাকেন। গুরুজী জ¦ীন নিয়ে খেলা করে বলিয়া প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিপুল পরিমান টাকার লোভ দেখায় রহিমা বেগমকে। পরবর্তীতে জ¦ীন দ্বারা তার ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনিদের ক্ষতি করার কথা বলিয়া পর্যায়ক্রমে বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে যায় জ¦ীনের বাদশা ও তার সদস্যরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লার তত্ত্বাবধানে সদর মডেল থানার এস.আই হাদী মো. খসরুজ্জামান ও এস.আই সুমন কমার আইচ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের রাউজান থানার গোশতী মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত. মনিরুল হকের ছেলে জ¦ীনের সহযোগি জসীম উদ্দিন ইউসুফ (৩৬), ও একই থানার বাগওয়ান লাম্বুর হাট গ্রামের জসীম উদিনের ছেলে আব্দুর রহমান আমান (২২) কে প্রতারকদের অফিস থেকে ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়। মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, জীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে কিছু প্রতারক চক্র মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম হাজরাপুর এলাকার এক মহিলার কাছ থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকার বেশি বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে নিয়ে গেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমি দুই জন এসআইকে সাথে নিয়ে জ¦ীনের বাদশা ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করার জন্য চট্টগ্রামের রাউজান থানা এলাকা অভিযান পরিচালনা করি এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রতারক চক্রের এক একজন সদস্য প্রতি মাসে ৬ লাখ টাকা থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। প্রধান জিনের বাদশাকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করতে পারবো বলে আমি আশাবাদি। মামলার তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি বিলম্বে সাংবাদিকদের জানালো হলো।