নওগাঁর মহাদেবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজনেরা একটি অসহায় পরিবারের বসত ভিটায় হামলা চালিয়ে টিনের বাড়ী ভাংচুর, গাছ কেটে তছনছ করেছে ও এতে বাঁধা দেয়ায় মাজেদা বেওয়া (৬০) নামে এক নারীকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিন জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুই দিনে পুলিশ এ ঘটনায় সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার সরস্বতীপুর গ্রামে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র হাসুয়া, লোহার রড, লাঠিশোটা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাড়ীতে হামলা চালায়। টিনের বেড়া ও ছাউনি ভাংচুর করে ৬০/ ৭০টি বিভিন্ন জাতের আম গাছ কেটে ফেলে। দুর্বর্ত্তৃরা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে সবকিছু ভাংচুর করে। ঘরে থাকা বৃদ্ধা মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এতে বাঁধা দিতে গেলে ১ আসামীর হুকুমে ২ ও ৩নং আসামী মাজেদাকে লোহার রড দিয়ে এ্যালোপাথারিভাবে মারপিট করে। বৃদ্ধার আত্নচিৎকারে তার আত্নীয় ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন প্রকার ভয় ও হুমকি প্রদান করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জান্নাতুনের স্বামী রঞ্জু জানান, গ্রামের শালিশে আমাদেরকে জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ৭ মাস থেকে ঘর করে বসবাস করে আসছি। হঠাৎ করে অনেক লোকজন ঢুকে মারপিট করে। আমাদের ঘর ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা আমাদের ঘরের আলমারি, চকি, রান্নাঘর, টিবয়েল, সবকিছু ভাংচুর করে। এক প্রকার তান্ডব চালায়। মামলার বাদি জান্নাতুন জানান, সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালিয়ে সবকিছু ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। বাড়ী ভাংচুর করাই আমরা দুই দিন থেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। এ বিয়ষে তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা করা হয়েছে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেন। আমরা আসামী আটকের চেষ্টা চালাচ্ছি।