চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগের অপর নাম এখন রাজবাড়ীর বেঁড়ি বাঁধের ৪৮ কিলোমিটার রাস্তা। এ রাস্তায় এখন কোন ধরনের যানবাহন ও জন সাধারনের চলার মত নেই কোন অবস্থা। রাাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের জামতলা থেকে পাংশা হাবাসপুর আঞ্চলিক সড়কের জামতলা থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এ রাস্তার অবস্থা এখন ভাঙ্গাচোড়া আর খানাখন্দে ভরা। রাস্তা দেখে এখন আর বোঝার উপায় নেই এ সড়কটি পাকা না কাঁচা রাস্তা। হালকা বৃষ্টি হলেই পানি জমে সরু এ রাস্তাটির অবস্থা তৈরী হয় মরন ফাঁদ-ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি না দেয়া আর ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে অচল এ রাস্তাটি যেন এখন দেখার কেউ নেই। বর্তমানে এ রাস্তাটি দিয়ে ঁেহটেও চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে জন সাধারনের। সড়কের মাঝে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই হাটু সমান পানি জমে দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। গুরুত্বপূর্ণ বেরি বাঁধের রাস্তাটি সরু ও অনেক বেশী ভাঙ্গা চোড়া ও খানাখন্দ হওয়ায় এ রাস্তায় এখন যে কোন ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। হেঁটেও চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে যানবাহন চালক ,যাত্রী ও এলাকাবাসির। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে বিশেষ করে চরাঞ্চলের হাজারো মানুষের যাতায়াত ,ফসল বহন করা ও যাত্রীবাহী বিভিন্ন ধরনের যান ,পন্যবাহী ট্রাক সহ ছোট ছোট স্থানীয় যানবাহন এ রাস্তায় বেশি চলাচল করে। পুরো রাস্তাটি এখন কাঁদা আর পানিতে মিশে একাকার । রাস্তাটি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি আদৌ পাঁকা না কাঁচা রাস্তা। জেলার প্রধান সড়কের পড়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প রাস্তা হিসেবে বেরিবাঁধের এ রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেশি। বিশেষ করে যে সকল জনসাধারন কম দূরুত্বের রাস্তা হিসেবে দৌলতদিয়া থেকে কুষ্টিয়া ,পাবনা সহ বিভিন্ন জেলায় সহজে যাতায়াত করে থাকে তাদের জন্য এ রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংক্ষেপ । বর্তমানে প্রধান সড়কের উন্নয়নের কাজ চলমান থাকায় বেরিবাঁধের এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন ও জন সাধারনের চলাচল আরো বেড়েছে। রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বেরি বাঁধের এ রাস্তাটি গোয়ালন্দের জামতলা থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার অংশের জামতলা থেকে সদর উপজেলার মৌলভী ঘাট পর্যন্ত ৩১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কিলোমিটার রাস্তার প্রশস্ত করন কাজে। রাস্তাটি সম্প্রসারন করে ১২ ফিটের স্থানে ১৮ ফিটে উন্নিত করার কাজ চলমান রয়েছে। বাকি ৩৬ কিলোমিটার অংশের মৌলভী ঘাট থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত অংশের বিভাগীয় মেরামত কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্যে নতুন একটি প্রকল্প প্রনয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং ডিপিপি প্রনয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১শত কোটি টাকা। যান চলাচল স্বাভাবিক করার লক্ষে পুরো সড়কের মান উন্নয়ন ও প্রশস্তকরনের জন্যে পরিকল্পনা প্রনয়ন করেছেন। কাজ সম্পন্ন হলে এই সড়কটি দিয়ে দৌলতদিয়া হয়ে রাজবাড়ী-পাংশা যান চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। ভোগান্তি কমবে এ পথে চলাচলরত জন সাধারনের ।